1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছুরিকাঘাতে মেয়রের মৃত্যু, পোল্যান্ডে শোক, প্রতিবাদ

১৫ জানুয়ারি ২০১৯

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে পোল্যান্ডের গেডানস্ক শহরের উদারপন্থি মেয়র পাভেল আডামোভিচ মারা গেছেন৷ রবিবার এক চ্যারিটি আয়োজনে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়৷

https://p.dw.com/p/3BZaT
Polen Danzig Trauer und Gedenken nach Mord an Pawel Adamowicz, Bürgermeister
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/K. Dobuszynski

পোল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুকাস সুমোস্কি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা মৃত্যুর কাছে পরাজিত হয়েছি৷ চিকিৎসকরা পাঁচঘণ্টা অস্ত্রোপচার করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেনি৷ ছুরিকাঘাতের কারণে পাভেলের হৃদপিণ্ড ও পেটে গভীর ক্ষত হয়েছিল৷''

রবিবার ছিল গ্রেট অর্কেস্ট্রা অব ক্রিসমাস চ্যারিটির বাৎসরিক আয়োজনের শেষ দিন৷ ‘লাইটস টু হ্যাভেন' শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পোল্যান্ডের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি কিনতে অর্থ সংগ্রহ করা হয় ২৭ বছর ধরে৷ ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে আডামোভিচকে ছুরিকাঘাত করে এক দুর্বৃত্ত৷ তাঁর মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পরপরই গ্রেট অর্কেস্ট্রা অব ক্রিসমাস চ্যারিটির প্রধান স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন৷ উল্লেখ্য, এবার গ্রেট অর্কেস্ট্রা চ্যারিটি গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে৷ তবে উদ্যোগটি নানা মহলে বিভিন্নভাবে সমালোচিত হয়েছে৷

হামলার শিকার হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মেয়র পাভেল আডামোভিচ মঞ্চ থেকে তোলা একটি ছবি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন৷ সেই আয়োজনে উপস্থিত দর্শকরা উজ্জ্বল সাদা রঙের আলো ধরে রেখেছেন এমন দৃশ্য ধারণ করেছিলেন মেয়র৷

গ্রেট অর্কেস্ট্রা অব ক্রিসমাস চ্যারিটি আয়োজনের টেলিভিশন ফুটেজ থেকে দেখা যায়, এক লোক মঞ্চে ‘আডামোভিচ মারা গেছে' চিৎকার করে তাঁর দিকে ছুটে গিয়ে ছুরিকাঘাত করেন৷ মেয়র পাভেল মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন৷

গ্রেপ্তার হওয়ার আগে মঞ্চে সেই তরুণ দাবি করেন, মেয়রের সাবেক দল তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিল৷ সেখানে তাকে অনেক অত্যাচার করা হয়েছিল বলেও দাবি তার৷ স্থানীয় পুলিশ জানায়, হামলাকারীর নাম স্টেফান, বয়স ২৭৷ তার পুরো নাম পুলিশ প্রকাশ করেনি৷ মিডিয়াকর্মীর ছদ্মবেশে সে মঞ্চে উঠেছিল৷

Anti-Semitism on the rise in Poland

পুলিশ জানায়, স্টেফানের বিরুদ্ধে অতীত অপরাধের রেকর্ড রয়েছে৷ ব্যাংক ডাকাতির অপরাধে দীর্ঘ সময় সে জেল খেটেছে৷ পুলিশ আরো জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, সে একজন মানসিক রোগী৷ কারণ, কারাগারে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার সিজোফ্রেনিয়া সংক্রান্ত জটিলতায় সে হাসপাতালে গিয়েছে৷

এদিকে মেয়র পাভেলের মৃত্যুর পরপরই সোমবার রাতে এক টুইটার বার্তায় পুলিশ জানিয়েছে, সেদিনই ওয়ারশ'র এক ৭২ বছর বয়্সি বৃ্দ্ধকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ সেই বৃদ্ধ আরেকটি দাতব্য সংস্থায় ফোন করে এরপর প্রেসিডেন্ট দুদাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন৷

এদিকে মেয়রের মৃত্যুর  খবর জানাজানির পরই রাজপথে মোমবাতি ও ফুল হাতে নেমে আসে গেডানস্কবাসী৷ তাঁদের অনেকের হাতেই মেয়র পাভেলের ছবি দেখা যায়৷ উদারপন্থি এই মেয়র গত ২০ বছর ধরে গেডানস্ক শহরের  মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন৷ রাজনীতিবিদ হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন তিনি৷

এফএ/এসিবি (এপি, এএফপি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান