ছানাপোনা
চলতি গ্রীষ্মে জার্মানির বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় নানা জীবজন্তু, পশুপাখির ছানাপোনারা জন্ম নিয়েছে৷ আরো বড় কথা, তাদের সবাই সুস্থ এবং বহাল তবিয়তেই রয়েছে...
আদর করো!
কায়া হলো একটি খুদে সি লায়ন৷ জন্ম গত চৌঠা জুলাই, ভুপারটাল-এর চিড়িয়াখানায়৷ বলতে কি, সে আজ ভুপারটাল জু-র স্টার! লোকজন তাকে দেখে বিমুগ্ধ, বিমোহিত৷ ক্যালিফর্নিয়ার এই সি লায়ন-রা সিল মাছদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর বলে অনেকে মনে করেন৷ সি লায়ন বেবি-রা গোড়া থেকেই সাঁতার কাটতে পারে না৷ মা-র দেখাদেখি শিখে নিতে হয়৷
নে, খেয়ে দ্যাখ...
মা ফলের খোসা ছাড়িয়ে দিচ্ছে, যা-তে বাচ্চা ফল খেতে পারে৷ বাচ্চার মা হল দশ বছর বয়সের কাদুনা, বাবা বারো বছর বয়সের বাকুত – এরা ম্যান্ড্রিল গোত্রীয় বানর৷ বাচ্চা পিন্টো-কেও দেখতে খাসা, বড় বড় কান, খাড়া চুল৷ পিন্টোর জন্ম মিউনিখের হেলাব্রুন চিড়িয়াখানায় গত ২৪শে জুন৷ সেটাই এক আশ্চর্য, কেননা ম্যান্ড্রিলরা বিশ্বের বিপন্নতম বানর প্রজাতিগুলোর মধ্যে পড়ে৷
বকছো কেন? আমিও চেঁচাতে পারি!
বাড হলো একটি ফার সিল, অর্থাৎ লোমশ সিল৷ তার জন্ম এ বছরের ২৫শে মে তারিখে৷ মা ডনা-র সঙ্গে সবে সাঁতার কাটতে শুরু করেছে৷ বাড জন্মানো ইস্তক ফার সিল-দের চৌবাচ্চায় একটানা হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি৷ তবে সেটা বাড দুষ্টুমি করছে বলে নয়৷ ফার সিলরা তাদের মায়েদের চেনে গলার আওয়াজ শুনে৷ তাই গোড়ার দিকে মা আর বাচ্চা পরস্পরকে লক্ষ্য করে চেঁচাতে থাকে৷ সে কনসার্ট খুব সুখকর না হলেও, মজা লাগে বৈকি৷
‘আমি কিন্তু মেয়ে!’
হামবুর্গের হাগেনবেক চিড়িয়াখানায় প্রথমবার বাচ্চাকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছে মা যশোদা, যদিও এটা তার প্রথম বাচ্চা নয়, পঞ্চম৷ জন্মেছে গত ১৩ই জুলাই৷ নামকরণ করা হচ্ছে দর্শকদের ভোটের মাধ্যমে৷ ভারতীয় হাতি, কাজেই বাছতে হবে এই পাঁচটি নাম থেকে: শান্তি, ইশানী, অঞ্জলি, মোহিনী বা নিশা৷
পিঁপড়েখেকো
ফ্লাভিও হলো একটি বেবি অ্যান্টইটার – বলা উচিত অ্যান্টইটার বেবি৷ অ্যান্টইটাররা হলো লম্বা জিভওয়ালা পিঁপড়েখেকো জীব৷ সাদা-কালো লোমওয়ালা ফ্লাভিও জন্মায় গত মে মাসের মাঝামাঝি, ঠিক সময়ের তিন সপ্তাহ আগেই৷ বাঁচবে কিনা সন্দেহ ছিল৷ তবে হালে শহরের চিড়িয়াখানার পরিচারকরা ঠিকই তাকে সুস্থ করে তুলেছেন৷
ওরে, ওদিকে যাসনি!
মা ১৩ বছরের সি লায়ন কাটিয়া শাসন করছে যে মেয়েকে, তার নাম হলো ইউলে, জন্ম চলতি বছরের ১৮ই জুন তারিখে৷ ইউলে চায় তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যেতে, কেননা ডুইসবুর্গের চিড়িয়াখানায় গত জুন মাসে আরো দুই সি লায়ন মায়ের বাচ্চা হয়েছে – সেই বাচ্চারাই হলো ইউলে-র খেলার সাথী৷ ইউলে-র মা কিন্তু বাচ্চার উপর খুব নজর রাখে, যদিও কাটিয়া নিজে বড় হয়েছে ফিডিং বটল-এর কল্যাণে!
তুমি হলে দুনিয়ার সেরা মা!
বাচ্চা মেয়েটার অর্ধেক সময় কাটে মায়ের পেটের উপর শুয়ে৷ মা কুটু হলো বোনোবো বানরী, বয়স ১৭ বছর৷ এটি তার তৃতীয় সন্তান৷ বোনোবো-রা খুব সামাজিক, দঙ্গলের বাকিরা নিয়মিতভাবে এসে দেখে যায়, মা-মেয়ে ভালো আছে কিনা৷ সব মিলিয়ে দঙ্গলে এখন ১৭টি বানর-বানরী ও তাদের বাচ্চা৷ বিশ্বের আর কোনো চিড়িয়াখানায় এত বড় বোনোবো গোষ্ঠী নেই৷
দত্তক মা গ্যার্ট্রুড
ভর্মস চিড়িয়াখানার মুর্গি গ্যার্ট্রুড যে নান্দু বাচ্চাগুলোর দেখাশুনো করছে, তারা কিন্তু এককালে প্রায় অস্ট্রিচের মতো বড় হবে! ভবিষ্যতে যাই হোক, গ্যার্ট্রুড আপাতত এই কচি নান্দু-দের দত্তক নিয়েছে৷ দক্ষিণ আফ্রিকার এই পাখাহীন পাখিগুলোকে বড় করার ভার থাকে সাধারণত বাবাদের ওপর৷ কিন্তু ভর্মস জু-র নান্দু বাবাটি এক্কেবারে ফেল মারার পর গ্যার্ট্রুড-কে সে দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয়েছে৷