ছবিতে মহাত্মা গান্ধীকে অনুসরণ
জার্মান আলেকচিত্রী আনিয়া বানহফ পাঁচ বছর ধরে গান্ধীকে নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং এমন সব স্থানে গিয়েছেন যেখানে একসময় গান্ধীর পদধূলি পড়েছিল৷ চলুন তাঁর ছবিতে গান্ধীকে অনুসরণ করা যাক৷
১৮৯৩: দক্ষিণ আফ্রিকার পিটারমারিৎসবুর্গ স্টেশনের বিশ্রামাগার
দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছানোর পরপরই এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন মহাত্মা গান্ধী৷ তিনি শ্বেতাঙ্গ নন বলে ১৮৯৩ সালের ৭ জুন ট্রেনের ফার্স্ট ক্লাস থেকে তাঁকে বের করে দেয়া হয়৷ তখন ডারবান থেকে প্রিটোরিয়া যাচ্ছিলেন তিনি৷ সেরাতে পিটারমারিৎসবুর্গ স্টেশনের বিশ্রামাগারে অবস্থানকালে তাঁর মধ্যে পরিবর্তন আসে৷ একজন আইনজীবী থেকে অ্যাক্টিভিস্টে বদলে যান গান্ধী৷
১৯১৩: প্রিটোরিয়ার কেন্দ্রীয় কারাগারের কমিউনিটি সেল
আইন অমান্য করায় জীবনের প্রায় ছয় বছর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের বিভিন্ন কারাগারে কাটিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী৷ সেই সময়টা অবশ্য গবেষণা এবং লেখালেখি করে কাজে লাগিয়েছেন তিনি৷ ১৯১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর প্রিটোরিয়া কারাগার থেকে বের হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে যান তিনি৷
১৯১৭: মতিহারি স্টেশন, বিহার
১৯১৭ সালে ‘চম্পারন সত্যাগ্রহ’ প্রচারণার সময় ভারতের এখনো অন্যতম দরিদ্র রাষ্ট্র বিহারে গিয়েছিলেন গান্ধী৷ সেখানে তিনি ব্রিটিশ জমির মালিকদের বাধ্যতামূলক নীল চাষের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করেন৷ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরার পর এটা ছিল গান্ধীর প্রথম অহিংস আন্দোলন৷
১৯১৯: নবজীবন, গুজরাট
অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে কর্মকাণ্ড শুরুর সময় থেকেই গণমাধ্যমের শক্তির উপর ভরসা করতেন গান্ধী৷ ভারতে ফেরার পর ১৯১৯ সালে তিনি নিজের মাতৃভাষা গুজরাটি ভাষায় নবজীবন নামের একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ শুরু করেন৷
১৯২৭: সোদপুর আশ্রম, পশ্চিমবঙ্গ
কলকাতার উত্তরে সৌদপুর আশ্রম ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়৷ ১৯২৭ থেকে ১৯৪৭ সালের মধ্যে গান্ধী বেশ কিছুদিন সেখানে ছিলেন৷ শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদরা তাঁর সঙ্গে সেখানে সাক্ষাৎ করতেন৷
১৯৪৬: সাধুরখিল গ্রাম, নোয়াখালী
মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে দাঙ্গা রুখতে ১৯৪৬ সালে বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলা সফর করেন মহাত্মা গান্ধী৷ সেসময় তাঁর বয়স ছিল ৭৭ বছর৷
১৯৪৮: ত্রিবেণী সঙ্গম, উত্তর প্রদেশ
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীর মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ নতুন দিল্লিতে দাহ করা হয়৷ তাঁর দেহভস্ম গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক স্বরশ্বতী নদীর মিলনস্থলে ছড়িয়ে দেয়া হয়৷