ছবিতে জার্মানিকে যেভাবে তুলে ধরেছে তারা
জার্মানি আসলে কেমন? চলচ্চিত্র নির্মাতা স্যোন্কে ভোর্টমান সাধারণ মানুষকে ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে বলেছিলেন৷ দশ হাজারের বেশি ক্লিপ পেয়েছিলেন তিনি, যা দিয়ে তৈরি করেছেন ‘ডয়েচলান্ড৷ মেইড ইন জার্মানি’ সিনেমাটি৷
তারুণ্যের ছাপ
জার্মান পরিচালক স্যোন্কে ভোর্টমান চেয়েছিলেন তাঁর চলচ্চিত্রে জার্মান সমাজের একটি প্রস্থচ্ছেদ তুলে ধরতে৷ এ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বয়সীদের কাছ থেকে ভিডিও পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন৷ কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল তরুণ প্রজন্মই তাঁর প্রকল্পে অবদান রেখেছে সবচেয়ে বেশি৷ ফলে সেটি হয়ে গেছে অনেকটা বর্তমান সেল্ফি প্রজন্মের এক রঙ্গিন উপস্থাপনা৷
উপর থেকে জার্মানি
‘ডয়েচলান্ড৷ মেইড বাই জার্মানি’ ছবি তৈরির আগে অনেক ছবিতে জার্মানিকে ‘বার্ড আই ভিউ’ থেকে দেখানো হয়েছে৷ স্যোন্কে ভোর্টমানও তাঁর ছবিতে সৌখিন বৈমানিকদের তোলা বিভিন্ন ভিডিও যোগ করেছেন৷
উপরে দেখা
ফিল্ম প্রকল্পে অংশ নেয়াদের অধিকাংশই মাটিতে দাঁড়িয়ে ভিডিও করেছেন, তবে কেউ কেউ ক্যামেরাটা আকাশের দিকে ধরতে ভোলেননি৷ ছবিটিতে মানুষের দৈনন্দিন নানা ঘটনা, তাদের উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, আনন্দসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে৷
শহর এবং পল্লীগ্রাম
ছবির জন্য প্রাপ্ত ভিডিওগুলো মূল্যায়ন করে জানা যায়, অধিকাংশ জার্মান ঘরের চেয়ে বাইরে সময় কাটাতে বেশি ভালোবাসেন৷ ফলে সুযোগ পেলেই তারা চলে যান গ্রামাঞ্চলে৷ তবে শহরের ভিডিওও পাওয়া গেছে প্রকল্পে, যেগুলোতে শহুরে জীবনের এক বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে৷
পশুপ্রেমীদের ভিডিও
জমা পড়া ভিডিও ক্লিপগুলো দেখতে শুরু করার সময়ই স্যোন্কে ভোর্টমান আশঙ্কা করেছিলেন কুকুর, বিড়ালের অনেক ভিডিও দেখতে হবে তাঁকে৷ তাঁর আশঙ্কা সত্যি হয়েছে৷ আশার কথা হচ্ছে, সেসবের মধ্য থেকে কিছু ভিডিও চূড়ান্ত চলচ্চিত্রেও জায়গা পেয়েছে৷
জার্মানি সুন্দর
‘জার্মানি৷ একটি গ্রীষ্মের কাহিনি’ নামের একটি ছবি স্যোন্কে ভোর্টমান তৈরি করেছিলেন ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের সময়৷ জার্মানি সেবছর বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল৷ এক দশক পর নির্মাতা তাঁর দৃষ্টির পরিধি আরো সম্প্রসারিত করেছেন৷