চোখের জলে আঁকা ছবি বিস্ফোরকে উড়িয়ে ‘রক্ষা’
কয়েক বছর আগে চোখের রঙিন জলে ছবি এঁকে তাক লাগিয়েছিলেন লিয়ান্দ্রো গ্রানাতো৷ এবার আলোচনায় এলেন বহু কষ্টে আঁকা দামি পাঁচটি ছবি বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
দামি ছবি ধ্বংস করার প্রস্তুতি
গত ৩ অক্টোবর নিজের আঁকা ৫টি ছবি ঘরে তৈরি বিস্ফোরক দিয়ে একরকম ধ্বংসই করে দেন আর্জেন্টাইন শিল্পী লিয়ান্দ্রো গ্রানাতো৷ ওপরের ছবিতে বুয়েন্স আইরেসে তারই প্রস্তুতি নেয়ার দৃশ্য৷
লিয়ান্দ্রোর অভিনব কৌশল
লিয়ান্দ্রো গ্রানাতো সারা বিশ্বে প্রথম সাড়া জাগিয়েছিলেন ৮ বছর আগে৷ চোখের জলে রং মিশিয়ে সেই রং অশ্রুর মতো ফেলে ফেলে তাকে ছবি আঁকতে দেখে অবাক হয়েছিলেন সবাই৷ ৩ অক্টোবর বিস্ফোরক দিয়ে পাঁচটি ছবি ছিন্নভিন্ন করে দেন লিয়ান্দ্রো৷ ছবিগুলোর মোট দাম ধরেছিলেন ৭০ হাজার ডলার৷
ছবি বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে কী লাভ?
বিস্ফোরণের পর বুয়েন্স আইরেসের এক মাঠে এভাবেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল ছবির টুকরোগুলো৷ লিয়ান্দ্রো জানান, পাঁচটির মধ্যে দুটি বিক্রি হয়ে গেছে, দুটো কেনার জন্য বুক করে রেখেছেন দুই ক্রেতা৷ যারা কিনেছেন বা কিনবেন তাদের কাছে ওপরের ছবির মতো টুকরোগুলো তুলে তুলে পাঠিয়ে দেবেন লিয়ান্দ্রো৷ ক্রেতারা তাতেই নাকি খুশি! সুতরাং ছবি ধ্বংস করলেই সব টাকা মোটেই জলে যাবে না৷
ছবি নিয়ে কেন এই ধ্বংস ধ্বংস খেলা?
লিয়ান্দ্রো এবং তার ক্রেতারা আসলে ছবি ধ্বংস করতে চান না৷ বরং তারা চান ছবিগুলো যাতে ক্যানভাসে না থেকে শুধু ডিজিটাল দুনিয়ায় থাকে৷ হ্যাঁ, এভাবে বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে নিজের ছবিগুলোকে আসলে নন ফান্জিবল টোকেন (এনএফটি) শিল্পকর্মের অংশই করেছেন লিয়ান্দ্রো৷
এনএফটি-তে আস্থার কারণ
নন ফান্জিবল টোকেন, অর্থাৎ এনএফটি শিল্পকর্মের কদর দিন দিন বাড়ছে৷ নন ফাঞ্জিবল ছবি মানে এমন ছবি যাতে কোনোদিনই ফাঙ্গাস বা ছত্রাক পড়বে না৷ তাই এভাবে ছবি রাখাকে নিরাপদ মনে করছেন অনেকেই৷ এ কারণেই লিয়ান্দ্রো গ্রানাতো ঠিক করেছেন ছবি বিক্রি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেবেন৷ তারপর ছত্রখান হয়ে যাওয়া ছবির যে অংশগুলো পাবেন, সেগুলোই পাঠিয়ে দেবেন ক্রেতার কাছে৷