1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চে গুয়েভারার শৈশবের বন্ধু গ্রানাদো চলে গেলেন

৬ মার্চ ২০১১

চে গুয়েভারা৷ বিশ্বের বহু দেশে যখন বিপ্লব চলছে, তখন বিপ্লবের প্রতীক চে গুয়েভারার শৈশবের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু, তারুণ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যাত্রার সাথী আলবার্তো গ্রানাদো চলে গেলেন৷

https://p.dw.com/p/10U6x
বয়স্ক লোকটিই গ্রানাদোছবি: Constantin Film, München

সেই সুদূর শৈশবে দেখা হয়েছিল দু'জনের৷ আলবার্তো গ্রানাদো-র আর এরনেস্তো চে গুয়েভারার৷ ছোটবেলার দুই বন্ধু তারুণ্যে পা দিয়ে ডাক্তারি পড়তে গেলেন৷ সে সময়েই দুজনে ল্যাটিন অ্যামেরিকার মধ্য দিয়ে মোটরবাইক নিয়ে আট মাসের লম্বা একটা যাত্রা করেছিলেন৷ দুই বন্ধুর এই যাত্রা নিয়েই অসাধারণ ছবি তৈরি হয়েছিল, যার নাম মোটরসাইকেল ডায়ারিজ৷ কারণ, এই সেই যাত্রা যা কিনা জন্ম দিয়েছিল বিপ্লবের চেতনা৷ চে গুয়েভারার মনে৷

১৯৫১ সালে নিপীড়িত ল্যাটিন অ্যামেরিকার বুকের ভিতর দিয়ে যাত্রা করেন দুই তরুণ৷ একটানা আটমাস ধরে তাঁরা দেখতে থাকেন গভীর দারিদ্র্য, সামাজিক বঞ্চনার অজস্র উদাহরণ৷ তরুণ চে গুয়েভারার মনের মধ্যে গভীর ছায়া ফেলেছিল সেই যাত্রার অভিজ্ঞতা৷ বিপ্লবের পথে এগিয়ে দিয়েছিল তাঁকে এরপর৷

তাই গ্রানাদো আর চে-এর সেই যাত্রাকে অমর করে রাখতে ২০০৪ সালে তৈরি হয়েছে একটি ছবি৷ যার নাম মোটরসাইকেল ডায়ারিজ৷ যাতে বিপ্লবের প্রতীক চে-কে চরিত্রায়িত করা হয়েছে৷ ছবিতে আলবার্তো গ্রানাদো চে-এর পরেই সবচেয়ে দরকারি চরিত্র ছিলেন৷

কিউবার হাভানায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিপ্লবী চে গুয়েভারার সেই যাত্রার সঙ্গী আলবার্তো গ্রানাদো৷ বয়স হয়েছিল তাঁর ৮৮ বছর৷ বিশ্বের এখানে ওখানে যখন বিপ্লবের আগুন জ্বলছে, সে সময় চে-এর বন্ধু আলবার্তো গ্রানাদোর বিদায় চে গুয়েভারাকেই আরও একবার মনে করিয়ে দিয়ে গেল নিশ্চয়ই৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: জাহিদুল হক