1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরান চুক্তির ভবিষ্যৎ

৩০ এপ্রিল ২০১৮

ইরানের প্রেসিডেন্ট পরমাণু চুক্তির শর্ত নিয়ে নতুন করে দরকষাকষি করতে নারাজ৷ অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন সম্ভবত ১২ই মে এই চুক্তি থেকে সরে আসতে চলেছে৷ পরিস্থিতি সামলাতে কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/2wtcO
ছবি: picture-alliance/AA/F. Bahrami

ইরানের প্রেসি়ডেন্ট হাসান রোহানি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দেশ পরমাণু চুক্তিতে কোনো পরিবর্তন মেনে নেবে না৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে টেলিফোনে প্রায় এক ঘণ্টার আলোচনার সময় তিনি আরও বলেন, ইরান এই চুক্তির আওতায় যাবতীয় দায়দায়িত্ব পালন করছে৷ অন্য কোনো অজুহাতে এর বাইরের বিষয় নিয়ে দরকষাকষির অবকাশ নেই৷ তবে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ভূমিকা নিয়ে সংলাপে কোনো আপত্তি নেই, বলেন রোহানি৷ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে আলোচনা করতে তাঁর দেশ প্রস্তুত, বলেন রোহানি৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার যে হুমকি দিয়ে চলেছেন, তার জের ধরে ইউরোপে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন৷ তিনি ওয়াশিংটনে গিয়ে ট্রাম্পকে এই চুক্তির গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছেন৷ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও আঞ্চলিক প্রভাবের বিষয় অন্তর্গত করে বর্তমান চুক্তির আরও সম্প্রসারণের পালটা প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু ট্রাম্প এই মর্মে কোনো আশ্বাস দেননি৷ আগামী ১২ই মে তাঁকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চুক্তি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন৷

সপ্তাহান্তে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে মাক্রোঁ ও ম্যার্কেলের সঙ্গে টেলিফোনে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ তাঁরা বর্তমান চুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন৷ চুক্তির বাকি দুই স্বাক্ষরকারী দেশ রাশিয়া ও চীনও এই চুক্তি মেনে চলার পক্ষে৷ অন্যদিকে ইসরায়েল ও সৌদি আরব ইরানের প্রভাব খর্ব করতে এই প্রশ্নে ওয়াশিংটনের সঙ্গ দিচ্ছে৷

সদ্য নিযুক্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই পরিস্থিতিতে রবিবার ইসরায়েল সফর করেছেন৷ তিনিও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পরিবর্তন না হলে ট্রাম্প পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসবেন৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এই অবস্থানের পক্ষে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন৷ পম্পেও এর আগে সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেন৷ তাঁর মতে, মধ্যপ্রাচ্যসহ বাকি বিশ্বে ইরানের কার্যকলাপ স্থিতিশীলতা বিপন্ন করছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)