1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

১৫ মে ২০২০

করোনা সংকটের জের ধরে ওয়াশিংটন ও বেইজিং বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না৷ এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশেই দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3cG7I
Peking Staatsbesuch Trump in China
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Wong

করোনা সংকটের প্রথম পর্যায়ে চীনের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে বর্তমানে সে দেশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ অ্যামেরিকায় করোনা সংকটের দায় যতটা সম্ভব চীনের উপর চাপানোর চেষ্টা করে চলেছেন তিনি৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত ও উত্তেজনা বেড়েই চলেছে৷ এমনই প্রেক্ষাপটে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, এই মুহূর্তে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে কথা বলার কোনো আগ্রহ তাঁর নেই৷ গত জানুয়ারি মাসে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিকে বড় সাফল্য হিসেবে তুলে ধরলেও সে দেশ যেভাবে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তার ফলে তিনি অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন, বলেন ট্রাম্প৷ তাঁর মতে, চীনাদের কখনোই এমনটা হতে দেওয়া উচিত হয়নি৷

চীনের এমন ‘নেতিবাচক' ভূমিকার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যামেরিকার কিছু রাজনীতিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দাবি করছেন৷ যেমন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রে চীনা ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছেন এক সংসদ৷ সেই সব দাবি সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, অনেক কিছুই করা সম্ভব৷ ‘‘আমরা এমনকি গোটা সম্পর্কই ছিন্ন করতে পারি'', বলেন ট্রাম্প৷ তিনি আরও বলেন, এমনটা করলে অ্যামেরিকার পাঁচ লাখ কোটি ডলার বেঁচে যাবে৷ উল্লেখ্য, চীন থেকে অ্যামেরিকার আমদানির এই আনুমানিক অঙ্ককে ট্রাম্প ‘লস্ট মানি' বা ‘হারানো অর্থ' বলে বর্ণনা করেন৷

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভ মনুশিন বলেন, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে চীনের আরও অনেক তথ্য দেওয়া উচিত৷ তাঁর মতে, ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করছেন৷ গোটা প্রশাসন অ্যামেরিকার অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও মানুষের স্বাস্থ্যের উপর এই ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভূগছে৷ প্রেসিডেন্ট অর্থনীতি ও অ্যামেরিকার কর্মীদের সুরক্ষার জন্য সব কিছু করবেন, বলেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী৷

চীন অবশ্য শুরু থেকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ করোনা সংকট সম্পর্কে সে দেশ যথেষ্ট স্বচ্ছ মনোভাব দেখিয়েছে বলে দাবি করছে৷ ওয়াশিংটনের লাগাতার অভিযোগের মুখে কোণঠাসা বেইজিংও পালটা অভিযোগ করে চলেছে৷ দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে৷

চীনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ ছিন্ন করার উদ্যোগকে অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করছেন৷ বিশেষ করে বর্তমান সংকটের সমাধান করতে হলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য বলে তাঁরা মনে করেন৷ তাছাড়া চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলে আখেরে মার্কিন অর্থনীতিরই মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য