1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসিয়ান-চীন উত্তেজনা

১ আগস্ট ২০১২

এশিয়ায় চীনের বেড়ে চলা আধিপত্য অনেক দেশের জন্যই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বিশেষ করে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা দক্ষিণ চীন সাগরের উপর চীনের দাবির কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে৷

https://p.dw.com/p/15hh0
ছবি: Reuters

দক্ষিণ চীন সাগরের সঙ্গে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ান'এর দেশগুলির স্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে৷ কিন্তু চীনের আধিপত্য ও তার মোকাবিলার প্রশ্নে তাদের মধ্যে ঐকমত্য নেই৷ ২০১৫ সালের মধ্যে আসিয়ান রাষ্ট্রজোট হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো কাঠামো চালু করতে চায়৷ ফলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য সেই স্বপ্নের পথে বড় অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে৷

আসিয়ান'এর মধ্যে একদিকে আছে সিঙ্গাপুরের মতো ধনী, সমৃদ্ধ দেশ৷ অন্যদিকে রয়েছে মিয়ানমারের মতো দরিদ্র দেশ৷ চীন মিয়ানমার সহ অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলিতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করে চলেছে৷ ফলে জোটের মধ্যে বেড়ে চলেছে চীনের প্রভাব প্রতিপত্তিও, যা কাজে লাগিয়ে চীন প্রয়োজনে আসিয়ান'এর যে কোনো সম্মিলিত সিদ্ধান্ত আটকে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে৷ দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিতর্কের ক্ষেত্রে চীন এবার সেই জোর খাটাচ্ছে৷ তাছাড়া মিয়ানমার ও কাম্বোডিয়ার মতো দেশের উন্নয়নে চীন হাতেনাতে কাজ করছে৷ আসিয়ান'এর ভূমিকা সেখানে নগণ্য৷

Philippinen China Streit um Seegebiet Fischereikontrolle im Südchinesischen Meer Kriegsschiff
দক্ষিণ চীন সাগরের সীমা নিয়ে একাধিক দেশের বিরোধ চলছেছবি: Reuters

আসিয়ান'এর মহাসচিব সুরিন পিটসুওয়ান অবশ্য দুটি বিষয় আলাদা রাখতে চান৷ চীনের অভিসন্ধি নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে আসিয়ান'এর মধ্যে আরও সমন্বয়ের পরিকল্পনার পথে বাধা সৃষ্টি হোক, সেটা একেবারেই কাম্য নয়, বলেন তিনি৷ জাকার্তায় তিনি কূটনীতিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন৷ সম্প্রতি কাম্বোডিয়ায় আয়োজিত আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল৷ এর ফলে জোটের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা সম্ভব হয় নি৷

ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটের জের ধরে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আসিয়ান জোট বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে৷ তারাও চায়, ১০টি দেশের এই জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো এক কাঠামো চালু করুক৷ সেক্ষেত্রে প্রায় ২ লক্ষ কোটি ডলার অঙ্কের যৌথ অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে বিনা শুল্কে পণ্য ও পরিষেবা চলাচল করতে পারবে৷ বিনিয়োগ ও কর্মী-শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও যাতায়াতে কোনো বাধা থাকবে না৷

আসিয়ান'কে ইইউ'র ধাঁচে সাজাতে পারলে গোটা অঞ্চলের অর্থনীতি লাভবান হবে, এ নিয়ে কারো মনে কোনো সংশয় নেই৷ আসিয়ান নেতারাও সেটাই চান৷ কিন্তু বেশ কিছু রাজনৈতিক প্রশ্নে তাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান দেখা যাচ্ছে না৷ এর মধ্যে রয়েছে কিছু দ্বিপাক্ষিক সমস্যাও৷ যেমন থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ রয়েছে৷ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে চলছে সাংস্কৃতিক বিরোধ৷ তাছাড়া খোদ দক্ষিণ চীন সাগরের উপর কর্তৃত্ব নিয়ে যে বিবাদ চলছে, তাতে চীন ও তাইওয়ান ছাড়াও আসিয়ান'এর ৪টি দেশ জড়িত৷

এসবি / ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য