1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের এক সন্তান নীতি

৯ মে ২০১৩

‘রেইজ দ্য রেড ল্যান্টার্ন’ বা ‘রেড সরগম’-এর মতো ছবি তৈরি করেছেন ঝাং ইমু৷ ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন তিনি৷ কিন্তু এবার তাঁকে সাত সন্তানের জনক হওয়ার দোষে বিপুল অর্থদণ্ড দিতে হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/18Upt
ছবি: picture alliance/Photoshot

ঝাং ইমুকে চীনের সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রপরিচালকদের মধ্যে গণ্য করা হয়ে থাকে৷ কিন্তু ঠিক তাঁর বিরুদ্ধেই পূর্ব চীনের উসি শহরের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা তদন্ত চালাচ্ছেন, কেননা ঝাং-এর নাকি ‘‘অন্তত সাতটি সন্তান'' আছে, যা চীনের কড়া এক সন্তান নীতির একেবারেই পরিপন্থি৷

বিগত ত্রিশ বছর ধরে চীনে বিশেষ করে শহরের মানুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে৷ ব্যতিক্রমও কিছু কিছু রাখা হয়েছে, যেমন বাবা-মা দুজনেই তাদের বাবা-মায়েদের একমাত্র সন্তান হলে একটি দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেওয়া চলতে পারে৷ গাঁয়ের মানুষদের প্রথম সন্তান একটি মেয়ে হলে দ্বিতীয় সন্তান হতে কোনো বাধা নেই৷ আর সংখ্যালঘু উপজাতিদের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতাই নেই৷

এ নিয়ম ভাঙলে নানা ধরনের দণ্ডের ব্যবস্থা আছে: অর্থদণ্ড থেকে শুরু করে পদোন্নতি রোখা পর্যন্ত৷ অর্থদণ্ডের ক্ষেত্রে তা সন্তানের সংখ্যা এবং নিয়মভঙ্গকারীর আর্থিক সঙ্গতির উপর নির্ভর করবে৷ তাই জাং ইমুর ক্ষেত্রে নাকি ১৬ কোটি ইউয়ান, অর্থাৎ দু কোটি ষাট লক্ষ ডলার ফাইন হতে পারে, বলে জানিয়েছে খোদ পিপলস ডেইলির ওয়েবসাইট!

Berlinale 2012 roter Teppich Zhang Yimou Christian Bale Ni Ni
২০১২ সালের বার্লিনালেতে ঝাং ইমু (মাঝে)ছবি: picture alliance/landov

ঝাং-এর ‘অপরাধের' বাকি খুঁটিনাটি পরিষ্কার নয়৷ সরকারি গ্লোবাল টাইমস সংবাদপত্র ‘অনলাইন পোস্ট'-এর সূত্রে জানিয়েছে যে, ঝাং-এর নাকি ‘‘একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক'' ছিল৷ পিপলস ডেইলির রিপোর্টেও ঝাং-এর সন্তানদের জন্মের স্থান অথবা সন-তারিখ বিশদ জানানো হয়নি৷

চীনের কাছে এক সন্তান নীতির গুরুত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠতে পারে না৷ অপরদিকে এও ঠিক যে, ঝাং ইমু ‘‘হিরো'' কিংবা ‘‘হাউস অফ ফ্লাইং ড্যাগার্স''-এর মতো মার্শিয়াল আর্টস ছবি তৈরি করে চীনা চলচ্চিত্র শিল্পের ভোল পাল্টে দিয়েছেন৷ বক্স অফিসের হিসেবে স্বদেশে তৈরি ছবি আজ হলিউডের সঙ্গে পাল্লা দেবার ক্ষমতা রাখে৷

ঝাং-এর সর্বাধুনিক ছবি হলো ‘‘দ্য ফ্লাওয়ার্স অফ ওয়ার'', যা ২০১১ সালে মুক্তি পায়৷ ছবিটিতে ক্রিস্টিয়ান বেইল অভিনয় করেছেন৷ ছবিটি হল ১৯৩৭ সালে নানজিং-এ জাপানিদের হাতে চীনাদের হত্যাকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক ড্রামা৷ মনে রাখা দরকার, ঝাং-এর গোড়ার দিকের ছবিগুলি চীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল৷ কিন্তু সে যাবৎ তিনি কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন, নয়তো তাঁকে ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হতো না৷

শেষমেষ এ সন্দেহ থেকেই যায় যে, ঝাং-এর কোনো নেপথ্য শত্রু বা শত্রুরা তাঁকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছেন৷ তবে তিনি যে হঠাৎ সরকারের কুনজরে পড়েছেন, তার কোনো লক্ষণ কিংবা কারণ এখনও দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না৷

এসি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য