1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনা সাইবার হানায় অন্ধকার মুম্বই, দিল্লির পাশে বাইডেন

২ মার্চ ২০২১

কয়েক মাস আগে হঠাতই অন্ধকার হয়ে যায় মুম্বই। অভিযোগ, চীনের সাইবার হানায় এই অবস্থা হয়। এই হানা নিয়ে ভারতের পাশে বাইডেন।

https://p.dw.com/p/3q5e3
প্রতীকী ছবি।ছবি: Getty Images/AFP/P. Pillai

প্রথমে বলা হয়েছিল, গ্রিড ফেলিওর। তার ফলে গত ১২ অক্টোবর অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল ভারতের বাণিজ্য রাজধানী মুম্বই। কিন্তু অ্যামেরিকায় ম্যাসাচুসেটস ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ সংস্থা রেকর্ডেড ফিউচার-এর দাবি হলো, চীন সরকারের মদতপুষ্ট সাইবার হানার ফলে মুম্বইয়ের ওই হাল হয়েছিল। সাইবার হানার ফলে গ্রিড ফেলিওর হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস এ নিয়ে রিপোর্ট করার পর বিষয়টি সামনে আসে।

এরপরই প্রবল হইচই শুরু হয়েছে। অ্যামেরিকার কংগ্রেস সদস্য ফ্রাঙ্ক পালোনে বলেছেন, বাইডেনের উচিত চীনের আচরণের নিন্দা করে ভারতের পাশে দাঁড়ানো।

অভিযোগ হলো, এটা কোনো বেসরকারি সাইবার হানা নয়। এর পিছনে একটি রাষ্ট্রের হাত আছে। তাই তা মানা যায় না।

এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের উপর সাইবার হানা চালাচ্ছে, এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। ভবিষ্যতে এই ধরনের হানা থামাবার চেষ্টা করবে অ্যামেরিকা। বন্ধু দেশগুলি যাতে সাইবার হানার শিকার না হয়, তার জন্য কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও দাবি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারত সরকারের তরফে বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চেয়েও লাভ হয়নি। তারা এ নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎমন্ত্রী নীতিন রাউত জানিয়েছেন, নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট ঠিক। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের দল তৈরি করা হয়েছে।

রেকর্ডেড ফিউচারের মুখপাত্র দ্য হিন্দু পত্রিকাকে জানিয়েছেন, তথ্য বলছে, এখনো কিছু হানার চেষ্টা হচ্ছে। তবে আগে যে হানা হচ্ছিল, তা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। মুখপাত্র বলেছেন, নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট প্রকাশের পর ভারত সরকারের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে রিপোর্ট প্রকাশের আগে হয়েছিল। সব টেকনিক্যাল তথ্য ভারত সরকারকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। তার থেকে তারা চিহ্নিত করতে পারবে কারা সাইবার হানা চালিয়েছিল এবং তা বন্ধ করতে কী ব্যবস্থা নিতে হবে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস রেকর্ডেড ফিউচারের সিওও-কে উদ্ধৃত করে বলেছে, চীনের সরকারি মদতপুষ্ট সংস্থা রেড ইকো সাইবার হানার মাধ্যমে ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহনের অনেক তথ্য পেয়ে যায়। তারপরই তারা মুম্বইকে অন্ধকার করে দিয়েছিল।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রিপোর্টকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছে। তাদের বক্তব্য, এই রিপোর্টের সঙ্গে কোনো তথ্যপ্রমাণ দেয়া হয়নি। চীন বরাবর সাইবার হানার সম্পূর্ণ বিরোধী বলে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, নিউ ইয়র্ক টাইমস)