1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু

১৮ জুন ২০২০

ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের প্রভাব পড়তে চলেছে অন্য ক্ষেত্রে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টেলিকম সংস্থাকে বলা হয়েছে, চীনের সংস্থাকে অর্ডার না দিতে। রেলও চীনের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করছে।

https://p.dw.com/p/3dypa
ছবি: Reuters/A. Fadnavis

লাদাখে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে চীনা জিনিস বয়কটের আওয়াজ উঠেছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় টেলিকম বিভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বিএসএনএল ও এমটিএনএলকে নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা যেন কোনও চীনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি না করে। বিএসএনএল ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করার জন্য টেন্ডার দিয়েছে। সেখানে চীনা সংস্থার প্রবেশ এর ফলে বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, সূত্র জানাচ্ছে, বেসরকারি টেলিকম সংস্থাকেও চীনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে মানা করতে পারে টেলিকম বিভাগ।

শুধু টেলিকমই নয়, রেলও চীনের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করছে। ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোরের একটা অংশের সিগন্যালিং ও কমিউনিকেশনের ভার দেওয়া হয়েছিলো একটি চীনা সংস্থাকে। ৪৭১ কোটি টাকার এই প্রকল্পের বরাত দেওয়া হয় ২০১৬ সালে। এ দিন রেল সেই চুক্তি বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে।

এক-দুটি ক্ষেত্রে কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে চীনের খুব বেশি ক্ষতি হবে এমন নয়। তবে সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, এটা হলো সূচনা।  একটা সংকেত দেওয়া। ভবিষ্যতে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতেই পারে। বিশেষ করে সারা দেশে যখন আবার চীনা জিনিস বয়কটের দাবি ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।

ইতিমধ্যে বানিজ্য মন্ত্রক ৩৭০টি জিনিসের একটি তালিকা তৈরি করেছে। তাঁদের প্রস্তাব, এই সব জিনিস চীন থেকে আমদানি করার কোনও দরকার নেই। এর মধ্যে আছে খেলনা, কাগজ, কেমিক্যাল, প্লাস্টিকের জিনিস এবং খেলার সরঞ্জাম। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব অনুমোদন করলে তখন এটা কার্যকর হবে।  

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সব সিদ্ধান্ত নিয়ে চীনকে খুব বেশি বিপদে ফেলা যাবে না। এই অবস্থান নেওয়া হচ্ছে, দেশের লোককে একটা বার্তা দেওয়ার জন্য। বার্তাটা হলো, চীনের প্রতি ভারতও কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছে এবং তাদের সংস্থার সঙ্গে সরকার কোনও চুক্তিতে যাবে না। চীনের থেকে জিনিস কম আনা হবে। চীনকেও বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, গোলমালচরমে উঠলে চীনের জিনিস নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নেবে ভারত।

তবে এটাও ঘটনা, ভারতে যে সব চীনা সংস্থার জিনিস খুবই ভালো চলে, সেরকম সেলফোন, ইলেকট্রনিক্স, ই-কমার্স সংস্থাগুলি চিন্তায় আছে।

জিএইচ/এসজি(ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ইটি, এএনআই)