1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনকে মোকাবিলায় সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে জাপান

১৭ ডিসেম্বর ২০১০

স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সামরিক কৌশলে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে জাপান৷ চীনের অব্যাহত সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পাল্টা জবাব হিসেবে তারাও তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে যাচ্ছে৷ জাপানের সর্বশেষ সামরিক কৌশল পত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে

https://p.dw.com/p/Qe91
জাপানের সেনাছবি: AP

স্নায়ু যুদ্ধ চলাকালে জাপানের সামরিক কৌশলের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন৷ কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার দীর্ঘ দুই দশক পর এবার জাপান তার সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চীনকে নির্দিষ্ট করেছে৷ শুক্রবার জাপানের সামরিক কৌশলপত্রে চীনের অব্যাহত সামরিক শক্তিবৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷ জাপান জানিয়েছে এর জবাবে তারাও তাদের দক্ষিণাঞ্চলে মোতায়েন সেনার সংখ্যা বাড়াতে যাচ্ছে৷ একই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও আরও জোরদার করতে যাচ্ছে তারা৷

নতুন কৌশলপত্রে বলা হয়েছে, চীন তার সমুদ্র এলাকাতে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে এবং তার আধুনিকীকরণ করছে৷ এবং এক্ষেত্রে কোন ধরণের স্বচ্ছতা নেই বলেও জানানো হয়েছে৷ কেবল চীন নয়, উত্তর কোরিয়াকেও ওই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরণের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন জাপানের সামরিক কর্মকর্তারা৷ টোকিওর ওবালিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আকিরা কাটো বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, জাপান তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসে চীনকে মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

China U-Boot
চীনের একটি সাবমেরিনছবি: AP

জানা গেছে, জাপান, তার দক্ষিণাঞ্চলে সাবমেরিনের সংখ্যা ১৬টি থেকে বাড়িয়ে ২২টি করতে যাচ্ছে৷ এছাড়া বাড়ানো হচ্ছে জঙ্গি বিমানের সংখ্যাও৷ এর পাশাপাশি ভূমিতে অবস্থিত ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম মিসাইলের সংখ্যা দ্বিগুন করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ