1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনকে ছাড়াই মুক্ত বাণিজ্য এলাকার কথা ভাবছে অ্যামেরিকা

১৪ নভেম্বর ২০১১

চীনকে ছাড়াই এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় এক মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যামেরিকা৷ বলাই বাহুল্য, এমন প্রচেষ্টায় মোটেই সন্তুষ্ট নয় বেইজিং৷

https://p.dw.com/p/13ADp
‘অ্যাপেক’ শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাছবি: dapd

চারিদিকে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মাঝে ‘একলা চলো রে’ নীতি নিয়ে কেউই বেশিদুর যে এগোতে পারবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ সেইসঙ্গে খোঁজ চলছে এমন সঙ্গীর, যার সঙ্গে জোট বাধলে দুই পক্ষেরই লাভ হবে৷ এমনই ভাবনা নিয়ে সপ্তাহান্তে হাওয়াই দ্বীপের রাজধানী হোনুলুলু’তে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোট ‘অ্যাপেক’এর শীর্ষ সম্মেলনে মুক্ত বাণিজ্য এলাকা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ ৯ দিনের আঞ্চলিক সফরে এই জোটকে স্পষ্ট রূপ দিতে চান তিনি৷

আঞ্চলিক এই কাঠামোয় ওয়াশিংটন চীন’কে রাখার প্রয়োজন মনে করে নি৷ ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মাত্রা আরও বেড়ে যাবার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে৷ দুই পক্ষের মধ্যে বাকযুদ্ধও শুরু হয়ে গেছে৷ হোনুলুলু’তে ওবামা বলেছিলেন, ওয়াশিংটন চীনের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় ঠিকই, কিন্তু সেদেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিধিনিয়ম মেনে চলতে হবে৷ যেমন নিজেদের মুদ্রার বিনিময় মূল্য খোলা বাজারের হাতে ছেড়ে না দেওয়ার ফলে রপ্তানির বাজারে চীন অনৈতিকভাবে বাড়তি সুবিধা ভোগ করে চলেছে বলে অ্যামেরিকা অভিযোগ করে চলেছে৷ ওবামার সমালোচনার দ্রুত জবাব দিয়েছে বেইজিং৷ সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিষয়ক কর্মকর্তা পাং সেন মুদ্রার বিনিময় মূল্য সংক্রান্ত দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, কোনো নিয়ম সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিলে তবেই চীন সেই নিয়ম মানতে প্রস্তুত৷

তবে গোটা অঞ্চলে অন্য কোনো শক্তির আধিপত্য মেনে নিতে প্রস্তুত নয় চীন৷ অ্যামেরিকার নেতৃত্বে যেসব দেশ মুক্ত বাণিজ্য এলাকায় যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে, তাদের প্রতিও সন্তুষ্ট নয় বেইজিং৷ জাপান, ক্যানাডা ও মেক্সিকো ও আরও ৮টি দেশ এই কাঠামোর বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে চায়৷ আগামী বছরের মধ্যেই ‘ট্রান্স অ্যাটলান্টিক পার্টনারশিপ’ নামের মুক্ত বাণিজ্য এলাকার কাঠামো চূড়ান্ত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে৷

অ্যামেরিকা ও চীনের স্বার্থের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এশিয়ার দেশগুলি কিছুটা বিপাকে পড়েছে৷ তাদের মধ্যে অনেকে আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে চীনের বেড়ে চলা আগ্রাসী মনোভাব রুখতে মার্কিন সামরিক অবকাঠামোর উপর নির্ভর করতে চায়৷ আবার বিশ্বব্যাপী সংকটের এই বাজারে চীনের অর্থনৈতিক শক্তি কাজে লাগিয়ে ফায়দা তোলার আগ্রহও কম নয়৷ আপাতত আগামী সপ্তাহান্তে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলনে অ্যামেরিকা ও চীনের শীর্ষ নেতাদের আচরণের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তারা৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

APEC leaders pose for the official photo during the Asia-Pacific Economic Cooperation summit Sunday, Nov. 13, 2011, in Kapolei, Hawaii. They are, clockwise from left rear, Thai Deputy Prime Minister Kittirat Na Ranong, Singapore Prime Minister Lee Hsien Loong, Peruvian President Ollanta Humala, New Zealand Deputy Prime Minister Bill English, Malaysian Prime Minister Najib Tun Razak, South Korean President Lee Myung-bak, Mexican Economy Secretary Bruno Ferrari, Papua New Guinea Prime Minister Peter O’Neill, Philippines President Benigo Aquino III, Taiwanese Special Envoy Dr. Lien Chan, Vietnamese President Truong Tan Sang, Hong Kong Chief Executive Donald Tsang, Chilean President Sebastian Pinera, Sultan of Brunei Hassanal Bolkiah, Japanese Prime Minister Yoshihiko Noda, U.S. President Barack Obama, Russian President Dmitry Medvedev, Australian Prime Minister Julia Gillard, Canadian Prime Minister Stephen Harper, Chinese President Hu Jintao, Indonesian President Susilo Bambang Yudhoyono. (Foto:Chris Carlson/AP/dapd)
হাওয়াই দ্বীপে ‘অ্যাপেক’ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দছবি: dapd
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য