1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ত্র রপ্তানিকারক চীন

১৮ মার্চ ২০১৩

সুপরিচিত সুইডিশ থিংক ট্যাংক সিপ্রি’র ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের রিপোর্টে নতুন চমক হল, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অস্ত্র-রপ্তানিকারক হিসেবে চীন ব্রিটেনের স্থান নিয়েছে৷ তবে বাংলাদেশ ও ভারতেরও উল্লেখ রয়েছে এই রিপোর্টে৷

https://p.dw.com/p/17zY0
ছবি: Reuters

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিপ্রি বিশ্বব্যাপী অস্ত্র আমদানি-রপ্তানির একটি ডেটাবেস রাখে৷ তবে সিপ্রি সেই তথ্য পাঁচ বছরের গড় পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে প্রকাশ করে, কেননা বছর বছর অস্ত্র কেনাবেচায় অনেক হেরফের হতে পারে৷

সিপ্রি'র রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৮ থেকে ২০১২, এই পাঁচ বছরে চীনের রপ্তানি বেড়েছে আগের পাঁচ বছর তুলনায় ১৬২ শতাংশ৷ যার ফলে অস্ত্র রপ্তানিকারকদের তালিকায় চীন অষ্টম স্থানের পরিবর্তে এখন পঞ্চম স্থানে৷ সমগ্র আন্তর্জাতিক অস্ত্র রপ্তানিতে চীনের ভাগ দুই শতাংশ থেকে বেড়ে পাঁচ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷

পাকিস্তান, মিয়ানমার, বাংলাদেশ

চীনের এই উত্থান যে মূলত পাকিস্তান বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র কেনার ফলে, সে'কথা সিপ্রির আর্মস ট্রান্সফার প্রোগ্রামের ডাইরেক্টর পল হলটর্ন নিজেই বলেছেন৷ পাকিস্তানই চীনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনেছে: চীনের মোট রপ্তানির ৫৫ শতাংশই গেছে পাকিস্তানে৷ চীনা অস্ত্রের গ্রাহকদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মিয়ানমার, তারা কিনেছে আট শতাংশ৷ তার পরেই আসছে বাংলাদেশ৷ বাংলাদেশ কিনেছে চীনা অস্ত্র রপ্তানির মোট সাত শতাংশ৷

Delwar Hossain Sayedee Kriegsverbrechen Todesurteil Bangladesch
বাংলাদেশ কিনেছে চীনা অস্ত্র রপ্তানির মোট সাত শতাংশছবি: AFP/Getty Images

শুধু এশিয়ার এই কোণটুকুতেই নয়৷ চীনা অস্ত্র কেনে, এমন দেশগুলির মধ্যে উত্তর আফ্রিকার আলজিরিয়া এবং মরক্কো, অথবা দক্ষিণ অ্যামেরিকার ভেনেজুয়েলাকে পাওয়া যাবে৷ চীন আলজিরিয়াকে তিনটি ফ্রিগেট রণতরী বিক্রি করেছে৷ ভেনেজুয়েলা কিনেছে আটটি পরিবহণ বিমান৷ মরক্কো কিনেছে ৫৪টি ট্যাংক৷

সামরিক আত্মবিশ্বাস

অস্ত্র রপ্তানিকারকদের মধ্যে চীনের নবার্জিত পঞ্চম স্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লেই বলেছেন, চীন দায়িত্বশীল অস্ত্র রপ্তানিকারক এবং কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে৷ অপরদিকে চীন আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিই শুধু নয়, সেই সঙ্গে চীনের সামরিক আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে৷ ১৯৮৯ সালের তিয়ানানমেন স্কোয়ারের ঘটনাবলীর পর চীন পশ্চিমা দেশগুলি থেকে অস্ত্র অবরোধের সম্মুখীন হয়৷ ফলে দেশজ অস্ত্রশিল্প চীনের পক্ষে অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে৷ আজ চীনে তৈরি সামরিক সরঞ্জাম রুশ কি পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের সঙ্গে তুলনা করা চলে, বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷ ওদিকে চীনের সামরিক বাজেট বেড়েই চলেছে: এ'বছরের গণকংগ্রেসে তা বেড়েছে দশ শতাংশের বেশি৷

রপ্তানি-আমদানি

আন্তর্জাতিক অস্ত্র রপ্তানি বাণিজ্যে বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশ হল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩০ শতাংশ), রাশিয়া (২৬ শতাংশ), জার্মানি (৭ শতাংশ), ফ্রান্স (৬ শতাংশ) এবং চীন (৫ শতাংশ)৷ আমদানির ক্ষেত্রে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারত (১২ শতাংশ); দ্বিতীয়, চীন (৬ শতাংশ); তৃতীয়, পাকিস্তান (৫ শতাংশ); চতুর্থ, দক্ষিণ কোরিয়া (৫ শতাংশ) এবং পঞ্চম, সিঙ্গাপুর (৪ শতাংশ)৷

সবশেষে সংকট পীড়িত ইউরোপের দিকে চোখ ফেরালে দেখা যাবে, ২০১২ সালে ইটালি এবং নেদারল্যান্ডস মার্কিন এফ-৩৫ জঙ্গিবিমানের অর্ডার কমিয়েছে, ওদিকে বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও রোমানিয়া সেকেন্ডহ্যান্ড জঙ্গিবিমান কেনার পথ ধরছে৷ এমনকি পর্তুগাল তার নতুন এফ-১৬ বিমানের বহরটির জন্য খদ্দের খুঁজছে, যেমন স্পেন চাইছে তার সদ্য কেনা টাইফুন ইউরোফাইটার জঙ্গিজেটগুলিকে আবার বেচে দিতে!

এসি / এসবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য