1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন ও ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের তোপ

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকায় আসন্ন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন৷ ইরানের উপর আরো কড়া শর্ত চাপানোর উপরও জোর দিয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/35YjU
ছবি: picture-alliance/E.Vucci

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘জ্বালাময়ী’ ভাষণে নিজেকে হাসির পাত্র করে তুললেও নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে কিছুটা দক্ষতা দেখালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সাধারণ পরিষদের ভাষণের মতো এ ক্ষেত্রেও পৌঁছতে প্রায় ২০ মিনিট দেরি করলেন তিনি৷ প্রথমবার এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে তাঁর প্রিয় বিষয়গুলি তুলে ধরলেন৷ প্রথা ভেঙে তিনি সভাপতি হিসেবে নিজেই বক্তব্য শুরু করে ইরান, উত্তর কোরিয়া ও সিরিয়া নিয়ে তাঁর মতামত তুলে ধরলেন৷ ইরানের ‘আগ্রাসী' মনোভাব ও সিরিয়ায় রাশিয়ার ভূমিকার নিন্দার পাশাপাশি তিনি চীনের বিরুদ্ধে আচমকা সরাসরি অভিযোগ এনে শেষ পর্যন্ত পরিবেশ কিছুটা বিষিয়ে দিলেন৷

ট্রাম্প দাবি করেন, আগামী নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে৷ প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে চীনকে চ্যালেঞ্জ করার কারণে সে দেশ তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আর দেখতে চায় না৷ ট্রাম্প কোনো প্রমাণ পেশ না করলেও মার্কিন কর্মকর্তারা দুই দেশের মধ্যে বর্তমান বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চীনের পদক্ষেপের উল্লেখ করেন৷ তাঁদের মতে, চীন অ্যামেরিকার সেই সব অংশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেখানে ভোটাররা ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন দেখিয়েছেন৷

ট্রাম্প নিজে এক টুইট বার্তায় আইওয়া রাজ্যের একটি সংবাদপত্রের ছবি তুলে ধরেন৷ তাতে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র ‘পিপলস ডেইলি' এক বিজ্ঞাপন ক্রোড়পত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কড়া সমালোচনা করেছে৷ মার্কিন প্রশাসন আরো দাবি করছে, যে সব মার্কিন রাজনীতিক চীনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন, তাঁদের জন্য পুরস্কার এবং চীন-বিরোধীদের জন্য শাস্তির পথেও চলেছে বেইজিং৷

উপস্থিত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এমন অভিযোগের মুখে চরম অস্বস্তি দেখিয়ে নিজের লিখিত বক্তব্য পরিবর্তন করে সেটি উড়িয়ে দেন৷ তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, চীন কখনো কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না এবং করবেও না৷

জাতিসংঘে ইরানের বিরুদ্ধেও তোপ দাগালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ আবার সে দেশের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই চুক্তির ফলে ইরান নিয়মিত অর্থের নাগাল পেয়ে চারিদিকে অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে৷ তাঁর মতে, ওয়াশিংটন এই চুক্তি পরিত্যাগ করার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ইরান বাধ্য হয়ে আলোচনার পথে ফিরে নতুন শর্ত মেনে নেবে৷

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি তাঁর ভাষণে পরমাণু চুক্তি থেকে অ্যামেরিকার একতরফা প্রত্যাহারকে বেআইনি আখ্যা দেন৷ ফলে সে দেশ একঘরে হয়ে পড়েছে৷ তিনি বলেন, বাকি ৫টি দেশ এই চুক্তি কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর৷ বিশেষ করে আসন্ন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে জোরালো প্রস্তুতির কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

৯ জুলাইয়ের ছবিঘরটি দেখুন...