চার ঘণ্টার লড়াই, ফ্রেঞ্চ ওপেন জোকোভিচের, হেরেও প্রশংসিত চিচিপাস
ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে অসাধারণ লড়াই। দুই সেটে পিছিয়ে গিয়েও পরের তিন সেট জিতে খেতাব জিতলেন জোকোভিচ।
পরপর দুই বার
পরপর দুই বার ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতলেন নোভাক জোকোভিচ। ৫২ বছরে দ্বিতীয়বার এই ঘটনা ঘটল। ১৯ তম গ্র্যান্ড স্ল্যামও জয় করলেন তিনি।
দুই সেটে পিছিয়ে
ফাইনালে জোকোভিচের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন গ্রিসের ২২ বছরের স্তেফানোস চিচিপাস। প্রথম দুই সেট অসাধারণ খেলে জিতে নিয়েছিলেন চিচিপাস। তাকে তখন অপ্রতিরোধ্য লাগছিল। সেখান থেকে খেলা ঘোরালেন জোকোভিচ। পরপর তিনটি সেট জিতলেন। জিতলেন ফ্রেঞ্চ ওপেন টুর্নামেন্টও। চার ঘণ্টা ধরে অসাধারণ লড়াই হলো।
জেতার পর
এই অসাধারণ জয়ের পর একবারই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে জোকোভিচকে। ডান হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে হুঙ্কার।
শুধুই প্রশংসা
জোকোভিচ এরপর প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন চিচিপাসকে। তিনি বললেন, ‘‘আমি চিচিপাসকে নিয়ে কথা বলতে চাই। ওর মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি। আমিও এমন কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে জয়ের এত কাছে পৌঁছে হেরে যাওয়া এবং সেই হারকে মেনে নেওয়া খুব কঠিন।’’
হেরে গেলেও
হেরে গেলেও অসাধারণ খেলেছেন চিচিপাস। জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামের একেবারে কাছাকাছি এসে পৌঁছেছিলেন। জোকোভিচের মতো প্লেয়ারকে হারিয়ে দেয়ার জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। নিজের প্রতিভা চিনিয়ে দিতে পেরেছেন স্তেফানোস। তবে শেষরক্ষা হয়নি। কারণ, পরে জোকোভিচ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
সেমিফাইনালের লড়াই
জোকোভিচ সেমিফাইনালে নাদালের বিরুদ্ধে জয়কেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেখানেও প্রথম সেট হেরে নাদালের বিরুদ্ধে পরপর তিনটি সেট জিতেছেন তিনি।
অবিস্মরণীয় ৪৮ ঘণ্টা
প্রথমে নাদাল, তারপর চিচিপাসের বিরুদ্ধে এই জয় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন জোকোভিচ। এই ৪৮ ঘণ্টা তাকে অনেক কিছু দিয়েছে। স্মরণীয় জয়, ইতিহাস ছোঁয়ার সম্মান এবং টেনিসে দুইটি অবিস্মরণীয় ম্যাচ জেতার সুযোগ।
দেশের হয়ে
জোকোভিচ সার্বিয়ার প্লেয়ার। জেতার পর তিনি গ্রিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। তিনি বললেন, ''গ্রিসের ভাই-বোনদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সার্বিয়ার সঙ্গে আপনাদের দেশের সম্পর্ক খুব ভালো। শুধু তাই নয়, আপনাদের দেশ থেকে চিসিপাস ও মারিয়া সাক্কারির মতো প্রতিভা উঠে আসছে। সেটা টেনিস বিশ্বের কাছে দারুণ খুশির খবর।''