1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

চার ইউক্রেনীয় অঞ্চল অধিগ্রহণের পথে রাশিয়া

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

বৃহস্পতিবার খেরসন এবং ঝাপোরিজ্ঝিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে ক্রেমলিন। শুক্রবার তাদের অধিগ্রহণ করা হবে।

https://p.dw.com/p/4HYyY
ভ্লাদিমির পুটিন
ছবি: Gavriil Grigorov/POOL/TASS/dpa/picture alliance

শুক্রবার ক্রেমলিনে একটি অনুষ্ঠান করে লুহানস্ক, দনেৎস্ক, খেরসন এবং ঝাপোরিজ্ঝিয়া অধিগ্রহণ করবে রাশিয়া। দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছে, চারটি অঞ্চলের মস্কো নির্দেশিত প্রধানদের। তাদের উপস্থিতিতে ওই চার জায়গাকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেন-সহগোটা পশ্চিমা দুনিয়া এর বিরোধিতা করছে।

২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া ঠিক এভাবেই দখল করেছিল রাশিয়া। ২০২২ সালের যুদ্ধ শুরু হওয়ার অব্যবহিত আগে দনেৎস্ক এবং লুহানস্কের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। অন্য কোনো দেশ তা স্বীকার না করলেও রাশিয়া তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। দুইটি এলাকাতেই বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রতিনিধিদের সাহায্য করেছিল। এবং তার ঠিক পরেই যুগ্ধ শুরু হয়।

এবার খেরসন এবং ঝাপোরিজ্ঝিয়ার সঙ্গেও ঠিক সেই একই কাজ করা হলো। বস্তুত, এর আগে চারদিন ধরে এই অঞ্চলগুলিকে গণভোট করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও জাতিসংঘ, অ্যামেরিকা, ইউরোপ--কেউই ওই গণভোটকে স্বীকৃতি দেয়নি। রাশিয়ার কাজকেও তারা স্বীকৃতি দিচ্ছে না।

জরুরি বৈঠকে ইউক্রেন

শুক্রবার ক্রেমলিনে যখন অধিগ্রহণের অনুষ্ঠান হবে তখন জরুরি বৈঠকে বসছে ইউক্রেন। দেশের সেনাপ্রধান, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কীভাবে ওই চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার হাত থেকে বাঁচানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব নেতাদের কাছেও এবিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

মার্কিন কংগ্রেসে রাশিয়ার নতুন পদক্ষেপের নিন্দা করা হয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে মার্কিন কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা এই বিষয়টি সমর্থন করছে না। কোনোভাবেই রাশিয়া ইউক্রেনের অংশ অধিগ্রহণ করতে পারে না। ১২৪ বিলিয়ন ডলারের নতুন প্যাকেজের কথাও ঘোষণা করেছে অ্যামেরিকা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে রাশিয়ার এই কাজের তীব্র নিন্দা করেছেন। রাশিয়া যাতে তাদের কাজ সফল না হয়, তার জন্য তিনি সার্বিকভাবে ইউক্রেনের পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ার এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)