1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাইলেন আশ্রয়, পেলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

২৩ মার্চ ২০১৮

মাঝখানে একটু ভুল করে ফেললেন তিনি৷ খুন করে ফেললেন এক জার্মান ছাত্রীকে৷ জার্মানির ব্ল্যাকফরেস্টের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর ফ্রাইবুর্গে ঘটেছে এই ঘটনা৷

https://p.dw.com/p/2uqKV
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Seeger

ছয় মাসের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছে জার্মানির একটি আদালত৷

হুসেইন নামের ঐ যুবক এর আগেও গ্রিসে জেল খেটেছিলেন, এক নারীকে হেনস্থা করার দায়ে৷ জার্মানির শরণার্থী নীতির সুবিধা নিয়ে ২০১৫ সালে তিনি আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে আসেন এদেশে৷

২০১৬ সালের অক্টোবরে এক মেডিকেল ছাত্রীকে হত্যার দায়ে তার এই সাজা হয়৷ সাজা ঘোষণার সময় বিচারক ক্যাথরিন শেঙ্ক অভিযুক্ত ঐ শরণার্থী কতটা গর্হিত অপরাধ করেছে তা তুলে ধরেন৷ বলেন, ‘‘তিনি জানতেন, মেয়েটি তখনো বেঁচে আছে৷ তারপরও তাঁকে দ্রাইজাম নদীতে ডুবিয়ে মেরে ফেলা হয়৷’’ এই চাঞ্চল্যকর মামলা এরই মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে৷ বিচারক বলেন যে, তিনি কোনো বিদেশি বা কোনো শরণার্থীকে সাজা দেননি, দিয়েছেন একজন মানুষকে, যিনি অপরাধ করেছেন৷

২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে ১৯ বছর বয়সি মেডিকেল ছাত্রী মারিয়াকে মৃত অবস্থায় দ্রাইজাম নদীতে পাওয়া যায়৷ তাঁকে ডুবিয়ে মারার আগে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করা হয়৷

ফ্রাইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও গোথিক চার্চগুলোর জন্য বিখ্যাত এই শান্ত শহরটিতে ঘটনাটি বেশ সাড়া ফেলে৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার তদন্তে গিয়ে পুলিশ বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য পায়, যা জার্মানির শরণার্থী নীতির প্রতি প্রশ্ন তোলে৷

অপরাধী হুসেইন ২০১৫ সালে জার্মানিতে আসেন একজন আফগান অপ্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক হিসেবে৷ কিন্তু তদন্তে বের হয় যে, প্রথমত তিনি আফগান নন, ইরানের নাগরিক, এবং দ্বিতীয়ত, তিনি মোটেই অপ্রাপ্তবয়স্ক নন, তার বয়স কমপক্ষে ৩২ বছর৷

তদন্তে আরো বের হয় যে, এই হুসেইন ২০১৩ সালে গ্রিসের কোর্ফু দ্বীপে আরেক নারীকে নিপীড়ন করেন৷ সেজন্য তাকে দশ বছরের জেল দেয়া হয়৷ কিন্তু এক বছর পরই কারাগারে অপরাধীদের জায়গা না হওয়ায় তিনি ছাড়া পেয়ে যান৷

জেডএ/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)