চলতি অর্থ বছরে রেকর্ড জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বাংলাদেশ
৩০ ডিসেম্বর ২০১০২০১০ সালের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত পর্যালোচনা করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘চলতি অর্থবছরের বাজেটে মোট অভ্যন্তরীন উৎপাদন অর্থাৎ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ৷ আমার মনে হয়, কোনো বড় ধরণের বিপর্যয় না ঘটলে এই প্রবৃদ্ধি সহজেই অর্জিত হবে৷'' শুধু তাই নয়, এভাবে চলতে পারলে পরবর্তী বছরগুলিতেও অন্তত ৭ শতাংশের বেশি হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন ড. রহমান৷
তাঁর কথায়, ‘‘গত অর্থবছরের শুরুতে আমদানি ও রপ্তানি – দুটি খাতেই প্রবৃদ্ধি সেরকম সন্তোষজনক ছিল না বাংলাদেশের৷ কিন্তু বিশ্ব মন্দার প্রভাব কাটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি সঞ্চার করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ৷'' ড. রহমান জানান, চলতি অর্থবছরের শুরুর চার মাস, অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবরে রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে কমপক্ষে ৩৭ শতাংশ৷ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বেড়েছে আর তার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে মূল্যস্ফীতির হারও৷
রপ্তানিকারীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে উত্তর অ্যামেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলিতেই সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ৷ ‘ওয়াল-মার্ট', ‘গ্যাপ', ‘এইচ অ্যান্ড এম' – বিশ্বের অন্যতম এই সমস্ত খুচরো বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলির দৌলতেই স্বল্প দামের পোষাক শিল্পে প্রায় একচেটিয়া অধিকার রপ্ত করেছে বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র দেশ৷
জানা গেছে, চলতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে৷ অথচ, ২০১০'এর জুলাই মাস পর্যন্তও বাংলাদেশের জিডিপি'র প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৫ দশমিক ৮ শতাংশ৷ প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ছিল ২০০৬ সালে, ৬ দশমিক ৬ শতাংশ৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক