চলছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ অভিযান
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার বিস্তার রোধে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন চিরুনি অভিযান শুরু করেছে৷ ঢাকা দক্ষিণে পরিচালিত অভিযানের চিত্র দেখুন ছবিঘরে৷
ভ্রাম্যমাণ আদালত
বুধবার সেগুনবাগিচার আবাসিক ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিসসমূহে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ এই সময় ২৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়৷
এডিসের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ
সেগুনবাগিচার মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালস নামের এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের খোলা জায়গায় বহুদিনের পরিত্যক্ত একটি ড্রাম পাওয়া যায়৷ সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে সেখানে এডিস মশার বংশবিস্তার ঘটতে পারে৷
বাদ পড়েনি অলিগলি
সচরাচর কেউ প্রবেশ করে না এমন অলিগলিতেও অভিযান চলেছে৷ এসব জায়গায় এমন অনেক টব, পাত্র, টায়ার ইত্যাদি পড়ে থাকে, যেখানে খুব সহজেই এডিস মশা বংশবিস্তার করতে পারে৷
নির্দেশনা ও হুঁশিয়ারি
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেগুনবাগিচার মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালসের একজন ব্যবস্থাপককে নির্দেশনা দেন৷ প্রতিষ্ঠানটিতে ২-৩টি মশার বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ পাওয়া গেলেও জরিমানা না করে সাবধান করেন এবং পরবর্তীতে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান৷
পাওয়া গেল লার্ভা
সেগুনবাগিচার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি জমে থাকে এমন ড্রেন থেকে নমুনা সংগ্রহের পর সেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়৷ পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে তিনদিনের মধ্যে পুরো জায়গা পরিষ্কার করতে বলা হয়৷
প্রবাহমান পানি নিরাপদ
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রবাহমান পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়তে পারে না৷ একটি প্রতিষ্ঠানের একটি ম্যানহোলের ঢাকনা সরিয়ে সেখানে দেখা গেল পানি প্রবাহিত হচ্ছে৷
সন্তোষজনক পরিবেশ
তোপখানা রোডে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের একটি আবাসিক ভবনের পেছন দিকে বাগান পরিদর্শনের পর সেখানে সন্তোষজনক পরিবেশ দেখা যায়৷
নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন
নির্মাণাধীন কোনো স্থাপনাকে এডিস মশার বংশবিস্তারে সবচেয়ে উপযোগী জায়গা বলে মনে করা হয়৷ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সদস্যরা তাই একটি নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন জায়গা খুঁটিয়ে দেখছেন৷
নিবন্ধন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অভিযান পরিচালনাকারী দলের একজন সদস্য দাপ্তরিক প্রমাণাদির জন্য বিভিন্ন স্থাপনার বিস্তারিত ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে রাখছেন৷
লার্ভা ধ্বংস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একজন মশক নিধন কর্মী লার্ভা জন্মানোর সম্ভাব্য স্থানগুলোতে ওষুধ ছিটিয়ে দিচ্ছেন৷
হাসপাতালের চিত্র
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ডেঙ্গু ডেডিকেটেড ব্লক৷ হাসপাতাল সূত্র জানাচ্ছে, এবার এখন পর্যন্ত গতবারের মতো ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা যায়নি৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এ বছর ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৭৪ জন৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬ জন৷ গত বছর ডেঙ্গুতে ১৭৯ জন মারা যান, হাসপাতালে চিকিৎসা নেন লক্ষাধিক৷