1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলছে কথার লড়াই

সমীর কুমার দে, ঢাকা২ আগস্ট ২০১৪

ঈদের পরই সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামার কথা অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি-র৷ এমন ঘোষণা ঈদের আগেই দিয়েছিল দলটি৷

https://p.dw.com/p/1CnZK
Bangladesh BNP Begum Khaleda Zia
ছবি: picture-alliance/dpa

তবে ঈদের আগে থেকেই বিএনপির মাঠে নামা নিয়ে চলছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের কথার লড়াই৷ কথা দিয়েই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছেন উভয় দলের নেতারা৷ এই লড়াইয়ে নেমেছেন উভয় দলের প্রধান থেকে শুরু করে কর্মীরাও৷ প্রতিদিনই বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এ নিয়ে তাঁরা বক্তব্য দিচ্ছেন৷

ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রথম কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ যুক্তরাজ্য সফর শেষে ফিরে গত ২৬ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেখানে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘বিএনপির আন্দোলন মানে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যা করা৷ নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি করতে বিএনপি ঈদের পর আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে৷... আন্দোলনের কথা বলছেন, আসুন মাঠে নামুন৷ তাদের সঙ্গে মাঠে দেখা হবে৷ মাঠে আওয়ামী লীগসহ সবাই রয়েছে, দেশের সাধারণ জনগণও আছে৷ তাই মাঠের দেখা মাঠেই হবে৷ ফুটবল মাঠে কে কয়টা গোল দেয়, সেটা সেখানেই দেখা যাবে৷ অবশ্য দুর্বলদের তর্জন-গর্জন একটু বেশিই থাকে৷''

এরপর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় ‘নিরপেক্ষ' সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন খালেদা জিয়া৷ বলেন, তাঁরা নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি নিয়ে এগোতে চান৷ খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘৫ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি৷ বিশ্বের কোনো দেশ ওই নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি৷ দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার৷ এটা জনগণের দাবি৷''

আন্দোলনের কর্মসূচি বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী৷ আমরা গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই৷ বাধা দিলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে৷''

এদিকে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সহিংস আন্দোলনের চেষ্টা করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দেরি হবে না৷ আন্দোলনের নামে জানমালের ক্ষতি, গাড়িতে আগুন, বোমা মেরে মানুষকে হত্যার মতো সহিংস আন্দোলন করলে প্রশাসন বসে থাকবে না৷

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে৷ বিএনপির একজন বলছেন, তাঁরা কুচকাওয়াজ করবেন৷ আরেকজন বলেন যুদ্ধ করবেন৷ কুচকাওয়াজ করেন, বাঁশি বাজান আর ঢোল বাজান, ঘরে বসে বাজান, কেউ বাধা দেবে না৷

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি আশা করছি বিএনপির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের আন্দোলন ‘শান্তিপূর্ণই' হবে৷ এ বিষয়ে জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই৷''

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আশরাফ এসব কথা বলেন৷ ওই দিনই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিলেও তাতে জনগণ সাড়া দেবে না৷ তিনি বলেন, বর্তমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষেই আন্দোলন করা সম্ভব নয়৷ মানুষ থাকলেই আন্দোলন হয়, না থাকলে কোনো আন্দোলন হয় না৷

আওয়ামী লীগ নেতাদের এসব বক্তব্যের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে চলে যেতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে বলেছেন, আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক৷ দেশে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হোক, আন্দোলনের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, সেরকম কোনো আন্দোলন আমরা করতে চাই না৷ সরকার যদি সমঝোতার মধ্যে আসতো, তাহলে কোনো সমস্যা থাকতো না৷ কিন্তু তারা আলোচনা কিংবা সংলাপের পথে নেই৷ তারাই দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ আর সংঘাত হলে তার দায় আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য