1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান ডিজিটাল ক্যামেরার রমরমা

৪ ডিসেম্বর ২০১৭

হলিউড থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে ডিজিটাল ক্যামেরার ব্যবহার বেড়েই চলেছে৷ জার্মানির মিউনিখ শহরের এক কোম্পানি এ ক্ষেত্রে তার আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/2ohrr
Symbolbild Film Festival roter Teppich
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Nogier

চলচ্চিত্র শুটিং-এর আগে শেষ প্রস্তুতি চলছে৷ অভিজ্ঞ কলাকুশলিরা শট-এর জন্য ক্যামেরা সাজিয়ে নিচ্ছেন৷ সেটে ক্যামেরাই হলো আসল তারকা৷ ক্যামেরায় তোলা ছবিই প্রতিবার রূপালি পর্দায় জাদু সৃষ্টি করে৷ আজকাল আরও বেশি ক্যামেরাম্যান ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করছেন৷ নিজেদের স্বপ্ন বাস্তব করে তুলতে তাঁরা এই প্রযুক্তির অভিনব সম্ভাবনাগুলি কাজে লাগাচ্ছেন৷ তাঁদেরই একজন হান্স ফ্রম৷ তিনি বলেন, ‘‘চলচ্চিত্রের আকর্ষণই হলো ছবির মাধ্যমে গল্প বলা, নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্বকে দেখা৷''

মিউনিখ শহরে এআরআরআই প্রতিষ্ঠানের সদর দফতরে অসাধারণ সব ক্যামেরা সৃষ্টি করা হয়৷ যেমন এআরআরআই আলেক্সা৷ এই ক্যামেরা দিয়ে জেমস বন্ডের চলচ্চিত্রও তোলা হয়েছে৷

মার্টিন স্করসেসি-র মতো বিখ্যাত চিত্র পরিচালকও এই নতুন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করছেন৷ এআরআরআই পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য ড. মার্টিন প্রিলমান বলেন, ‘‘এই ক্যামেরা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যে অ্যানালগ যুগের ক্যামেরার সঙ্গে তার অনেক মিল রয়েছে৷ ফলে ক্যামেরাম্যানদের খুব সুবিধা হয়েছে৷ জটিল ‘ডিজিটাল' প্রযুক্তি নিয়ে তাঁদের মনে ভয় দূর হয়েছে৷''

ফিল্মের বদলে ক্যামেরা হাইটেক সেন্সরের উপর ছবি ধারণ করে৷ ফলে উচ্চ মানের আলট্রা হাই রেজোলিউশন ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ে৷ সব রকম ‘একস্ট্রিম' পরীক্ষার পরই ক্যামেরা ক্রেতার হাতে পৌঁছয়৷ ড. প্রিলমান বলেন, ‘‘সাধারণত বেশ রুক্ষ জায়গায় ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়৷ সমুদ্র, পাহাড়, বরফ, মরুভূমি – সব জায়গায়ই ক্যামেরাকে ঠিকমতো কাজ করতে হবে৷''

গোটা বিশ্বে প্রায় ৮০ শতাংশ চলচ্চিত্র তৈরির সময় জার্মানির এই কোম্পানির ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়৷ হলিউডও তার ব্যতিক্রম নয়৷ ফলে মিউনিখ শহরের এই কোম্পানি বিশ্ববাজারে তার আধিপত্য কায়েম করেছে৷

এর মধ্যেই ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা ছবি অ্যানালগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি শার্পনেস ও রংয়ের বৈচিত্র ফুটিয়ে তুলছে৷ সেইসঙ্গে ফিল্ম রোল, ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বাবদ বিশাল খরচও বাঁচিয়ে দিচ্ছে৷ আরেকটি সুবিধা হলো, ছবি তোলার পর সেটের মধ্যেই তা পরীক্ষা করা যায়৷

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সেরা মাস্টারপিসগুলির সংরক্ষণ করা হচ্ছে৷ সেখানে এআরআরআই কোম্পানির রেস্টোরেশন বিভাগে কর্মীরা নিষ্ঠার সঙ্গে পুরানো ফিল্মের রিল সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন৷ এই কাজ খুবই কঠিন৷ কারণ ঐতিহাসিক এই সম্পদের অনেক অংশ প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য