1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চরম দক্ষিণপন্থিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সুফল কি পাওয়া যাবে?

২২ জানুয়ারি ২০২৪

জার্মানি জুড়ে এএফডি দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সত্ত্বেও জনমত সমীক্ষায় সেই শক্তির প্রতি সমর্থন এখনো কমছে না৷ বিশ্বের অন্য কিছু দেশের মতো জার্মানির সমাজও কি চরম বিভাজনের দিকে এগোচ্ছে?

https://p.dw.com/p/4bWsV
গত ১০ই জানুয়ারি প্রকাশিত এক সংবাদের সূত্র ধরেই জার্মানি জুড়ে এএফডি দলের বিরুদ্ধে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ দলের কিছু সদস্য সমমনস্ক উগ্র দক্ষিণপন্থি ব্যক্তিদের সঙ্গে জার্মানি থেকে বিদেশিদের বিতাড়ন করতে এক ষড়যন্ত্রের রূপরেখা রচনা করেছিলেন বলে ‘কারেক্টিভ' নামের এক অনুসন্ধানী সংবাদ সূত্র জানিয়েছিল৷
এক সংবাদের সূত্র ধরে জার্মানি জুড়ে এএফডি দলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছেছবি: Ebrahim Noroozi/AP Photo/picture alliance

চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল জার্মানিতে চরম বিভাজন সৃষ্টি করছে৷ একদিকে জনমত সমীক্ষায় এখনো দ্বিতীয় স্থান দথল করে সেই দল আগামী নির্বাচনগুলিতে অভূতপূর্ব সাফল্যের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তুলছে, অন্যদিকে প্রবল শীত সত্ত্বেও গোটা দেশ জুড়ে লাখ লাখ মানুষ সেই দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন৷

সপ্তাহান্তেও জার্মানির বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদকারীরা সোচ্চার ছিলেন৷ শুধু শুক্রবার ও রোববারের মধ্যে প্রায় একশ' জায়গায় এএফডি-বিরোধী বিক্ষোভ আয়োজিত হয়েছে৷ আয়োজকদের মতে, সব মিলিয়ে ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ তাতে অংশ নিয়েছেন৷ রোববার মিউনিখ শহরে প্রায় এক লাখ মানুষ এএফডি দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে উপস্থিত হলে নিরাপত্তার খাতিরে আয়োজকদের শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ বাতিল করতে হয়েছে৷ বার্লিনেও রোববার সন্ধ্যায় প্রায় এক লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন৷

গত ১০ই জানুয়ারি প্রকাশিত এক সংবাদের সূত্র ধরেই জার্মানি জুড়ে এএফডি দলের বিরুদ্ধে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ দলের কিছু সদস্য সমমনস্ক উগ্র দক্ষিণপন্থি ব্যক্তিদের সঙ্গে জার্মানি থেকে বিদেশিদের বিতাড়ন করতে এক ষড়যন্ত্রের রূপরেখা রচনা করেছিলেন বলে ‘কারেক্টিভ' নামের এক অনুসন্ধানী সংবাদ সূত্র জানিয়েছিল৷ জার্মানির পূর্বাঞ্চলে তিনটি রাজ্যের নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে ভোটারদের সামনে এএফডি দলের ‘প্রকৃত চরিত্র' তুলে ধরতে আয়োজকরা দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের আয়োজন করছেন৷ বিশেষ করে যে সব মানুষ শুধু প্রতিষ্ঠিত দলগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে এএফডি দলকে সমর্থন করছেন, বিক্ষোভের মাধ্যমে তাদের মতবদলের আশা করা হচ্ছে৷ একাধিক রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ফুটবল ব্যক্তিত্ব চরম দক্ষিণুন্থিদের বিরুদ্ধে মানুষকে অবস্থান নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন৷

বিপুল জনসমর্থন ধরে রাখতে পারলে পূবের স্যাক্সনি ও টুরিঙ্গিয়া রাজ্যে নির্বাচনে এএফডি দল এমনকি ক্ষমতায় আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ সে ক্ষেত্রে আগামী বছর ফেডারেল নির্বাচনের আগে ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে দলটি দেশের বাকি অংশেও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সমর্থনের মুখ দেখে আগামী সংসদে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে৷ সেই ‘অঘটন' এড়াতে আইনি পথে নানা রকম পদক্ষেপের প্রস্তাব শোনা যাচ্ছে৷ তবে এএফডি দল, দলের নির্দিষ্ট কিছু অংশ বা কয়েকজন নেতার অধিকার খর্ব করার প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ বিশেষ করে দলটিকে সংবিধানবিরোধী হিসেবে তুলে ধরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ তাঁদের মতে, বরং রাজনৈতিক আঙিনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলের প্রকৃত অ্যাজেন্ডা তুলে ধরে প্রতিবাদী ভোটারদের মনে এএফডি সম্পর্কে সংশয় জাগিয়ে তোলাই সঠিক পথ৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, এপি)