1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চঞ্চল চৌধুরী : অচঞ্চল সুদূরের পিয়াসি

পার্থ সঞ্জয় ঢাকা
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

এক জাতীয় দৈনিকে অভিনেতা আফজাল হোসেন সগর্বে লিখেছেন, ‘‘আমাদের একজন চঞ্চল চৌধুরী আছেন৷’’ তার এত গর্বের কারণ, ‘‘চঞ্চলের অভিনয়ের জাদুতে বুঁদ হয়ে আছেন দর্শক৷ নাটক, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ- সব জায়গাতেই সফল তিনি৷’’

https://p.dw.com/p/4GxW8
চঞ্চল চৌধুরী
চঞ্চল চৌধুরীছবি: Partho Sanjoy

তাই কেউ তাকে ফুল মার্কস দিচ্ছেন৷ কেউ বলছেন, তিনি একাই একশ৷ কেউবা বলছেন, ‘‘হি ইজ আ ম্যাজিশিয়ান’’ বা ‘‘হি ইজ ওয়ান অব দ্য মোস্ট ট্যালেন্টেড অ্যাক্টর্স’’৷ ওপার বাংলার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি তো মনে করেন, ‘‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অভিনয় শেখানোর জন্য তার চোখ অভিনয় শেখার প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করা উচিত৷’’

হ্যাঁ, তার চোখ অনেক কথা বলে৷ কখনো রহস্যময়তায় দর্শককে ফেলে দেয় দ্বিধায়৷ তাই তো মানচিত্র ছাপিয়ে তার অভিনয়-মুগ্ধতা টলিউডও ছাপিয়ে পৌঁছে গেছে মুম্বাইয়ে৷ একজন তাকদীর, একজন চাঁন মাঝি হয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন বিশ্বময় বাংলার দর্শকের কাছে৷

তার পুরো নাম সুচিন্ত চৌধুরী চঞ্চল৷ সুপরিচিত চঞ্চল চৌধুরী নামে৷ বাংলাদেশের পাবনা জেলায় জন্ম৷

‘কারাগার’-এর প্রথম পর্বে তার অভিনয় দেখে ‘ডিজনি-হটস্টার স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের চিফ অপারেশন অফিসার হুজেফা কাপাডিয়া বলেছেন, ‘‘চঞ্চলের অভিব্যক্তি মনোমুগ্ধকর৷ তিনি বিরল অভিনয় দক্ষতাসম্পন্ন একজন অভিনেতা৷’’

‘এখন সে একজন সম্পূর্ণ অভিনেতা, এখন সে এক থেকে একশ’

শুধু কি তাই? তার অভিনীত ‘হাওয়া’ আটলান্টিকের ওপারে ক্যানাডা ও অ্যামেরিকায় রেকর্ড ১১৭ টি থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে৷

গৌরবে সীমানা ছাড়িয়ে...

সত্যজিৎ রায়ের অনঙ্গ বউ হয়ে ‘অশনি সংকেত’-এর ববিতা বার্লিনে গিয়েছিলেন ১৯৭৩-এ৷ তখনও বাংলাদেশকে পশ্চিম জার্মানি স্বীকৃতি দেয়নি৷ তবু সত্যজিতের নায়িকা হিসেবে বিশেষ বিবেচনায় বার্লিনে পৌঁছালেন ববিতা৷ সেই বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে ‘গোল্ডেন বিয়ার’ জেতে অশনি সংকেত৷ ববিতাও পান আন্তর্জাতিক পরিচিতি৷

সেই ধারাবাহিকতায় মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ফেস্টিভ্যাল গার্ল’ হলেন আমাদের ‘অনঙ্গ বউ’৷ ১৯৮০-তে সেই উৎসবে ববিতা শাড়ি পরে হাঁটলেন লাল গালিচায়৷

‘অশনি সংকেত’-এর নায়িকা হিসেবে ভারতে ‘বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিজম অ্যাসোসিয়েশন’ থেকে ববিতা পান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার৷

ওই দশকেই মাদ্রাজে জন্ম নেয়া অলিভিয়ার ছবি ‘বহ্নিশিখা’ সুপার হিট হলো ভারতে৷ পিযুষ বসু পরিচালিত ছবিটিতে অলিভিয়ার সহশিল্পী ছিলেন উত্তম কুমার, সুপ্রিয়া দেবী, রঞ্জিত মল্লিক৷

তার আগে প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান ঋত্বিক ঘটককে দিয়ে তৈরি করান ‘তিতাস একটি নদীর নাম’৷ ১৯৭৩ সালে ছবিটি তৈরি হলেও ১৯৯১ সালে মুক্তি পায় ভারতে৷ কবরী, রোজী সামাদ পৌঁছে যান ভারতীয় দর্শকের কাছে৷

মাঝে যৌথ প্রযোজনায় তৈরি বেশ কিছু ছবি সীমানা ছাড়িয়ে প্রশংসার মালা পরেছে৷ শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা৷ তবে কলকাতা বাজিমাত করলো ‘বেদের মেয়ে জোসনা’৷ ১৯৮৯ সালে ঢাকায় মোজাম্মেল হক বকুলের তৈরি ছবিটি ভারতে পুননির্মাণ করে মুক্তি দেয়া হয়৷ এতটাই জনপ্রিয়তা পান অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষ যে, তিনি বসবাস শুরু করে দেন কলকাতায়৷

‘আমার চরিত্রায়নে সবচেয়ে সহায়ক ছিল চারুকলায় পড়ালেখা’

১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয় ‘পদ্মা নদীর মাঝি’৷ রাইসুল ইসলাম আসাদ, চম্পা, রূপা গাঙ্গুলি অভিনীত ছবিটি ভারতে সেরা ফিচার ছবি ও পরিচালকের পুরস্কার জেতে৷

দুই দেশের যৌথ প্রযোজনার আরেক ছবি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’৷ বাসু চ্যাটার্জির সেই ছবিতে বাংলাদেশের ফেরদৌসের বিপরীতে ছিলেন ভারতের প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী৷ ছবিটি দুই বাংলাতেই দারুণ প্রশংসা পায়৷ প্রশংসিত হন ফেরদৌস৷

ফেরদৌসের মতো ওপার বাংলায় দর্শকের এত ভালোবাসা ঢালিউড সুপার স্টার শাকিব খানও পাননি৷ তার ‘নবাব’ পারেনি নবাবী করতে৷ পারেননি নুসরাত ফারিয়াও৷ তবে কলকাতায় ভালোভাবেই জায়গা করে নেন জয়া আহসান৷

২০২১ সালে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ব আসরে প্রশংসায় ভাসেন আজমেরি হক বাঁধন৷ কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৪তম আসরে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ প্রদর্শিত হয় আঁ সার্তে রোগার্দ বিভাগে৷ ‘রেহানা’ চরিত্রে অভিনয় করে বাঁধন ভাসেন দর্শক প্রশংসায়৷ এরপর এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডে গ্র্র্যান্ড জুরি জেতে ছবিটি৷ বাঁধন জেতেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার৷

আর হাল সময়ে বাঁধনের অভিজ্ঞতায় আরো যুক্ত হলো মুম্বাই৷ বিশাল ভরদ্বাজের নেটফ্লিক্স কন্টেন্ট ‘খুফিয়া’র টিজারে দেখা গেছে বাঁধনের ঝলক৷

তার আগে এপারের কন্টেন্ট দিয়েই ওপার জয় করেন চঞ্চল৷

সে রিহার্সেল রুমে খুব মনোযোগ দিয়ে ডিরেকশনটা শুনতো: মামুনুর রশীদ

ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন পাবনা থেকে চারুকলায় পড়তে আসা এবং তারপর ধীরে ধীরে এই পর্যায়ে আসার গল্প, ‘‘মঞ্চে দাঁড়ানোই আমার জন্য বড় একটা ব্যাপার৷ আমার রাস্তাই আমাকে নতুন রাস্তা দেখিয়েছে৷ সংক্রান্তি দিয়ে শুরু৷ প্রায় প্রত্যেকটা প্রোডাকশনেই মঞ্চে অভিনয় করতাম৷’’

অভিনয়-শৈলীর অনেকটা কৃতিত্ব নিঃসংশয়ে মঞ্চকেই দিলেন চঞ্চল, ‘‘আমার চরিত্রায়নে সবচেয়ে সহায়ক ছিল চারুকলায় পড়ালেখা৷ আমি ছবি আঁকার সময় যে ইমেজটা তৈরি করি, মাথায় যে ছবি কল্পনা করি, এটা আমার কাজে লাগলো অভিনয় করতে এসে৷ যে চরিত্রটি করতে হবে, তার একটা অবয়ব দেখতে পেতাম আমার কল্পনায়৷ আমি দেখতাম, চরিত্রটি কিভাবে হাঁটে, কথা বলে, জীবনযাপন করে৷’’

চঞ্চলের অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল নাট্যদল আরণ্যকে৷ আরণ্যকের কর্ণধার, নাট্যজন মামুনুর রশীদ অবশ্য চঞ্চলের চারুকলায় পড়ালেখাকে পাশে রেখে কৃতিত্ব দিলেন তার ধৈর্য্য, নিয়মানুবর্তিতা আর মনোযোগকে৷ বললেন, ‘‘সে রিহার্সেল রুমে খুব মনোযোগ দিয়ে ডিরেকশনটা শুনতো৷ অভিনয়ের জন্য কী কী লাগে, সে বিষয়গুলোর ব্যাপারে খুবই আগ্রহী ছিল৷ যখন মঞ্চে অভিনয় করা শুরু করলো, আমাদের ‘সংক্রান্তি’, ‘রাঢ়াঙ’, ‘ময়ূর সিংহাসন’সহ বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেছে৷ ‘ছোট’ এবং ‘বড়’ চরিত্র নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা ছিল না৷ ঠিক সময়ে মহড়ায় আসা, ঠিক সময়ে মঞ্চে আসা- তার এই ডিসিপ্লিন আমি দেখেছি৷ এসব গুণাবলী তার ছিল, যা একজন অভিনেতার থাকা খুব প্রয়োজন৷’’

‘সে পুরো টিমকে টেনে তুলেছে তার অভিজ্ঞতা দিয়ে’

চঞ্চল চৌধুরীকে দীর্ঘদিন কাছ থেকে দেখেছেন অভিনেতা আফজাল হোসেন৷ তিনি বললেন, ‘‘আমি চঞ্চল চৌধুরীর যে জার্নিটা লক্ষ্য করি, তা হলো, প্রথম বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে আজকের ওটিটি কনটেন্ট পর্যন্ত- প্রতিভাবান নির্মাতারা চঞ্চলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য৷ এটা কি চঞ্চলের সৌভাগ্য? নাকি নির্মাতারা লক্ষ্য করেছেন, এই অভিনেতার সেই সামর্থ্য আছে যে তাকে চরিত্রটি অফার করা হয়েছে, তা সে সুন্দর করে করতে পারবে৷ এই যে সামর্থ্য এটি শিল্পীকে অর্জন করতে হয়৷ চঞ্চল তা অর্জন করেছে৷ আমি বলতে পারি, এখন সে এক থেকে একশ ৷’’

সুদীর্ঘ অভিনয় জীবনে নানা চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরা প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘‘মঞ্চ করতে করতেই টেলিভিশনে কাজ করার সুযোগ পেলাম৷ মোস্তফা সরয়ার ফারুকির সাথে বিজ্ঞাপন, গিয়াসউদ্দীন সেলিমের সাথে কিছু নাটক, তারপর সিনেমা৷ মঞ্চের পেছন থেকে ক্যামেরার সামনে৷ একটা কাজের রেজাল্ট থেকেই আরেকটা কাজ৷’’

‘স্ক্রিনে চঞ্চল একটা ম্যাজিক’

আরো জানালেন, ‘‘করোনার মধ্যেই ওটিটির সাথে যুক্ত হওয়া৷ তাকদীর দিয়ে শুরু৷’’

অথচ ‘তাকদীর’-এ তার অভিনয় নিয়ে শুরুতে নিশ্চিত ছিলেন না নির্মাতা সাঈদ আহমেদ শাওকি৷ অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী সম্পর্কে এক ধরনের মুগ্ধতা নিয়েই যেন তিনি বললেন, ‘‘গল্প দিয়ে চঞ্চল চৌধুরী আমাকে বিচার করেছেন৷ যে রেসপেক্টটা তিনি পুরো টিমকে করেছেন তা পুরো টিমকে উদ্বুদ্ধ করেছে৷ তার এই গুণটাই তাকে যে কোনো মানুষ থেকে আলাদা করেছে৷ এই গুণটাই তাকে বেয়ন্ড দ্য বর্ডার্স দর্শক দিয়েছে৷ কারাগার-এ কোনো ডায়লগ ছাড়া সে যে পারফরম্যান্সটা করেছে, তার চোখ যেভাবে কমিউনিকেট করেছে...! ভালো আর্টিস্ট তখনই তৈরি হয়, যখন তার মধ্যে ঐ গুণগুলো তৈরি হয়৷ সে যেভাবে তার পৃথিবীটাকে দেখে তা অনেক মানবিক৷ আমি বলবো, সে তার প্রত্যেকটা প্রজেক্টকে ‘ওউন’ করেছে৷ যখন পুরো টিম হতাশায় মুষড়ে যায়, সে টেনে তুলেছে তার অভিজ্ঞতা দিয়ে৷’’

‘কারাগারে’ চঞ্চলের সহ অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন৷ এ সময়ের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘স্ক্রিনে চঞ্চল একটা ম্যাজিক৷’’ চঞ্চলের বিপরীতে প্রথম অভিনয় করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘এমন সিনিয়রের সাথে কাজ করতে গিয়ে সংশয় কাজ করছিল৷ কিন্তু আমার ধারণাটাই বদলে যায় যখন রিহার্সেল শুরু করি৷ ‘কমফোর্ট জোন’টা তিনিই তৈরি করে দিয়েছেন৷ তার ক্যারিয়ারে এত ভালো ভালো কাজ, তবু তিনি এত দায়িত্বশীল! প্রতিটা কাজের ব্যাপারে খুব সচেতন৷ কম করে ৭/৮ বার রিহার্সেল করতেন৷’’

সে একজন ম্যাজিশিয়ান: ডলি জহুর

চরিত্র বদলায়, বদলান চঞ্চল

যখনই সুযোগ এসেছে নিজেকে ভেঙেছেন, নিজেকে গড়েছেন চঞ্চল চৌধুরী৷ চরিত্রের প্রয়োজনে নানাভাবে বদলেছেন নিজেকে৷ গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘মনপুরা’ জাতীয় পুরষ্কার এনে দিয়েছিল তাকে৷ অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’তে অভিনয়ের সুবাদেও পেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতার স্বীকৃতি৷ এছাড়া টেলিভিশন, দেবী এবং হাওয়া ছবিতে অভিনয় করেও প্রশংসাধণ্য হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী৷ প্রতিটি ছবির জন্য নিজেকে যেভাবে তৈরি করেছিলেন তার খানিকটা বর্ণনা শুনুন অভিনেতার মুখেই, ‘‘মনপুরার জন্য ১০ কেজি ওজন কমিয়েছিলাম৷ ‘টেলিভিশন’-এর সময় আবার ওজন বাড়ানো হলো৷ আয়নাবাজি’তে ছয়টা চরিত্রে অভিনয় করলাম৷ প্রত্যেকটা চরিত্রে আলাদা গেটআপ৷ ‘দেবী’ করার সময় চুল সাদা করলাম ব্লিচ করে৷ ‘হাওয়া’র জন্য পান খাওয়া শুরু করলাম খয়ের দিয়ে৷ শুটিংয়ের ৪৫ দিনে প্রতিদিন ১৫/২০ টা পান খেতাম৷’’

নাট্যদল আরণ্যকেই চঞ্চলকে প্রথম দেখেন অভিনেত্রী ডলি জহুর৷ অস্ট্রেলিয়ায় বসে ‘তাকদীর’ দেখার মুগ্ধতা নিয়ে তিনি বললেন, ‘‘তাকদীরে মনে হচ্ছিল ও তাকদীরই, চঞ্চল নয়৷ ও যে ব্যালেন্সড অভিনয় করেছে, একদম ক্যারেক্টারে মিশে যাওয়া- আমি মুগ্ধ৷ এক কথায় অনবদ্য৷ সে একজন ম্যাজিশিয়ান৷ যে পাত্রেই রাখা হোক না কেন মেধা ও অধ্যাবসায়ের কারণে সব জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে৷’’

গড়পড়তা, মন কাড়েনি তেমন গল্পে তিনি কাজ করেন না: মনিরা মিঠু

‘তাকদীর’ এবং ‘কারাগার’ এখনো দেখেননি অভিনেত্রী মনিরা মিঠু৷ তবে ট্রেলার দেখেছেন৷ তিনি বললেন, ‘‘এত ভ্যারিয়েশন চঞ্চলের মধ্যে, এত বেশি চরিত্রের সঙ্গে তিনি মানিয়ে নিতে পারেন, কষ্ট করতে পারেন...৷ চরিত্র নিয়ে যথেষ্ট ভাবেন৷ তার লুকটা কীরকম হওয়া উচিত তা নিয়ে ভাবেন৷ লুক ফুটিয়ে তুলতে প্রযোজক কতটা সাপোর্ট দিতে পারবেন, তা নিয়ে মাথা ঘামান৷ মেকআপ আর্টিস্ট নিয়ে খুব চুজি৷ গড়পরতা, মন কাড়েনি তেমন গল্পে তিনি কাজ করেন না৷ চরিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রেও খুব সিলেক্টিভ৷ মাসের পর মাস ধরে তিনি চরিত্রের জন্য সার্ভাইভ করেন, অপেক্ষা করেন চঞ্চল চৌধুরীর উপযোগী কোনো কাজের জন্য৷’’

তবে চঞ্চল চৌধুরীকে তার অভিনয় জীবনের শুরু থেকে দেখা নাট্যজন মামুনুর রশীদ মনে করেন, ‘‘জন্মগতভাবে তার অভিনয়ের একটা ঝোঁক আছে৷ সে ঝোঁকটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা তার সবসময় ছিল৷ তা না হলে শিক্ষকতা করে, ছবি এঁকে সে জীবন কাটিয়ে দিতে পারতো৷ ভিজ্যুয়াল মিডিয়াতে কেন এলো? এখানে তার ব্যর্থতা আসতে পারতো৷ সাফল্য এসেছে, তবে ব্যর্থতাও কিন্তু আসতে পারতো৷ তার ভেতরে যে বিষয়টা ছিল তা কালে কালে তার কাজের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে৷’’