ঘুরে আসুন প্রাচীন এক অরণ্য থেকে
জার্মানির টুরিঙ্গিয়ায় হাইনিশ জাতীয় উদ্যানে প্রকৃতি যেন তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসে আছে৷ বসন্তে সেখানে প্রকৃতির চেহারা আরো বদলে যায়৷ দেখা মেলে বিরল প্রাণীর৷
মার্চে ফুল বাগানে জাদুর স্পর্শ
বসন্তের আগমনের সাথে সাথে হাইনিশ উদ্যানে ফুল ফুটতে শুরু করে৷ জার্মানির বৃহৎ এই বিচ বৃক্ষের অরণ্যের মাটি এতটাই উর্বর যে নানা প্রজাতির গাছ খুব সহজেই এখানে জন্মে৷ যেমন লিভারওয়ার্ট৷
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান
হোলওয়ার্ট নামের এই ফুলগুলো যখন পুরোপুরি ফোটে তখন পুরো অরণ্য যেন রঙিন কার্পেটে ঢেকে যায়৷ ২০১১ সালে এই উদ্যানটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়৷
পাখিদের স্বর্গ
শীতে পাখিদের কলকাকলি থেমে গেলেও বসন্তের শুরুতেই আবার তাদের গানে মুখরিত হয়ে ওঠে বনভূমি৷ এই ঋতুতে কালো কাঠঠোকরা তার সঙ্গী খোঁজা শুরু করে৷ এই উদ্যানে ১৮৯ প্রজাতির পাখি রয়েছে৷
অরণ্যে ভ্রমণ
অনেকভাবেই এই অরণ্যে আপনি ঘুরে বেড়াতে পারেন৷ মোটর সাইকেলে, পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ার গাড়িতে করে৷ ১৭ ধরনের ভ্রমণ প্যাকেজ আছে সেখানে৷
পাখির চোখে দেখা
হাইনিশ ন্যাশনাল পার্কে আপনার জন্য আরো একটি চমক আছে৷ এই ক্যানোপি হাঁটাপথ ধরে হেঁটে গাছের সমান উঁচুতে উঠে গেলে পুরো পার্ককে ভালভাবে দেখা যায়৷
প্রাচীন অরণ্য
হাইনিশ অরণ্যটি যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাই এখানে কোনো চাষবাস হয় না, এমনকি মরে যাওয়া গাছও সরিয়ে ফেলা হয় না৷
বিরল প্রাণী
এ অরণ্যের গুবড়ে পোকাগুলো মরে যাওয়া গাছ থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়৷ এই মরা বৃক্ষগুলো কেবল তাদের নির্ভয় আবাস নয়, এখানে ডিম পাড়ে তারা৷ এই উদ্যানে ৫০০ বিরল প্রজাতির গুবরে পোকা রয়েছে৷
সবুজ শ্রেণিকক্ষ
অরণ্য সংরক্ষণের জন্য যেমন বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে, তেমনি জাতীয় উদ্যানটি রক্ষায় সচেতনতা গড়ে তুলতে পরিবেশ বিষয়ে শিক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে৷ বিশেষ করে তরুণ পর্যকটদের প্রতি মনোযোগ বেশি তাদের৷ প্রায়ই স্কুলের শিক্ষার্থীরা সেখানে শিক্ষাসফরে যায়৷