ঘরে কেন এবং কী ধরনের গাছ রাখবেন
বেশিরভাগ মানুষ ঘরের ভেতর অনেকটা সময় কাটান৷ এই সময় ভালো অনুভূতি পেতে ঘরের মধ্যে গাছ রাখা যেতে পারে৷ ঘরে কোন ধরনের গাছ রাখা ভালো তা জানা যাবে এই ছবিঘরে৷
শরীরে প্রভাব পড়ে
ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে থাকে নানা ধরনের ফার্নিচার, পর্দা, জুতো, বিভিন্ন উপাদানের তৈরি পোশাক ইত্যাদি৷ আরও থাকে কেমিকেলযুক্ত বিভিন্ন জিনিসপত্র৷ সেইসাথে বাইরের দূষিত বাতাসতো আছেই৷ সেসবের প্রভাব পড়ে শরীরে৷ দেখা দেয় অ্যালার্জি, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা স্নায়ুরোগের মতো নানান সমস্যা৷
বেডরুমের জন্য এরিকা পাম ট্রি
অ্যামেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার করা এক সমীক্ষায় জানা যায়, ইনডোর প্ল্যান্টের মধ্যে সবচেয়ে দক্ষ বা শক্তিশালী গাছ হচ্ছে এরিকা পাম ট্রি৷ এই গাছেরই নাকি ঘরের ভেতরে তৈরি হওয়া দূষিত পদার্থ ফিল্টার করার সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা রয়েছে৷
ছোট খেজুর গাছ
ঘরে খেজুর গাছ রাখলে তা বদ্ধ ঘরের দূষিত বাতাস কমিয়ে আনতে সহায়তা করে৷ কাপড়ে থাকা কেমিকেল ও রং জাতীয় পদার্থ ফিল্টার করে বাতাসকে পরিষ্কার রাখে এই গাছ৷ তাই ঘরে ছোট খেজুর গাছ রাখা যেতে পারে৷
গ্রিন লিলি
গাছগুলো এমনিতেই দেখতে ভীষণ সুন্দর, আর যথেষ্ট আলো পেলে তো কথাই নেই! তেমন যত্ন না পেলেও কিন্তু এই গাছ বেড়ে ওঠে বেশ তাড়াতাড়ি৷ গ্রিন লিলি সব ঘরেই রাখা যায়, তবে অফিস বা পড়ার ঘরে রাখলে বেশি উপকার পাওয়া যায়৷ কারণ গ্রিন লিলির বড়গুণ হচ্ছে, এটি ফটোকপি মেশিনের ট্রাইক্লোরোইথিলিনকে ফিল্টার করে ঘরের বাতাসকে দূষণমুক্ত রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে৷
বোস্টন ফার্ন
গাঢ় সবুজ পাতার এই গাছটি বাথরুমের এক কোণে রাখতে পারেন৷ সেখানে রোদের আলো কম পেলেও কিন্তু বেশ ভালোই থাকে ফার্ন গাছ৷ বাথরুমে রাখলে এই গাছ টয়লেট পেপার, চুলের রং কিংবা কসমেটিক্সে থাকা কেমিকেল সহজে ফিল্টার করে বাথরুমের বাতাস দূষণমুক্ত রাখতে সহায়তা করে৷
তরোয়াল ফার্ন
দেখতে অনেকটা বোস্টন ফার্নের মতো, কারণ একই গোত্রের নাকি প্রায় ৪৪ জাতের গাছ রয়েছে৷ এই গাছটি রাখা যেতে পারে বাড়ির করিডোরে বা ঢোকার জায়গায়৷ বাড়ির কোনো ধরণের ধোঁয়া বা বাইরে থেকে ঢোকা গাড়ির ধোঁয়াকে সহজে ফিল্টার করে ঘরকে দূষণমুক্ত রাখতে সহায়তা করে এই গাছ৷ তবে গাছটি তেমন রোদ সহ্য করতে পারেনা৷ তাই বাড়ির করিডোরই এর জন্য উপযুক্ত জায়গা৷
সতর্কতা
তবে ঘরের ভেতরে যে-কোনো গাছ একটু সচেতনভাবে রাখা উচিত৷ ছোট্ট একটি গাছ ঘরের কোনো এক কোণায় রেখে দিলেই হবেনা৷ লক্ষ্য রাখতে হবে প্রতি বর্গমিটারে যেন কিছুটা হলেও গাছের অস্তিত্ব বোঝা যায়৷