ঘর হারা মানুষ এখন আরো অসহায়
যুদ্ধ বা অন্য কারণে জোর করে মানুষকে ঘরহীন করে দেয়ার ঘটনাগুলো সম্প্রতি স্থায়ী রূপ নিচ্ছে৷ অর্থাৎ এই মানুষগুলো ফিরতে পারছেন না ঘরে৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে এমন কথা৷
এক দশকে দ্বিগুণ
ইউএনএইচসিআরের হিসেবে, ২০১৯ সালের শেষ পর্যন্ত সংঘাত ও যুদ্ধের কারণে ঘরহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় আট কোটি (৭.৯৫ কোটি)৷ এর অর্থ বিশ্বের প্রতি ৯৭ জনে ১ জনকে জোরপূর্বক ঘর ছাড়া করা হয়েছে৷ ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল চার কোটি দশ লাখ৷ অর্থাৎ এক দশকে প্রায় দ্বিগুণ মানুষ এমন নিয়তির শিকার হয়েছেন৷
স্থায়ীভাবে ঘরহীন
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ঘরহীন মানুষের সংখ্যা শুধু পৃথিবীজুড়ে বাড়ছে তা নয়, মানুষ স্থায়ীভাবে ঘরহীন হচ্ছেন৷ বলা হচ্ছে, শরণার্থীদের ৭৭ ভাগই দীর্ঘমেয়াদে আটকা পড়েছেন আশ্রয় পাওয়া অন্য এলাকা বা দেশে৷
নাজুক অবস্থা
নানা কারণে বাস্তুহীনদের মধ্যে অন্তত ৮০ ভাগ খাদ্য সংকট ও অপুষ্টিতে ভুগছেন৷ অনেক দেশ জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতেও রয়েছে৷
পাঁচ দেশের নাগরিক বেশি
ঘরহীন হওয়া মানুষদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই পাঁচটি দেশের৷ দেশগুলো হলো, সিরিয়া (৬৬ লাখ), ভেনেজুয়েলা (৩৭ লাখ), আফগানিস্তান (২৭ লাখ), দক্ষিণ সুদান (২২ লাখ) ও মিয়ানমার (১১ লাখ)৷ এই দেশগুলোর বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছেন পার্শবর্তী দেশে৷ যেমন রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে৷
উন্নয়নশীল দেশেই সবচেয়ে বেশি
প্রতি দশ জন শরণার্থীর আট জনই উন্নয়নশীল দেশে আটকা পড়ে আছেন৷ তুরস্কে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৩৬ লাখ শরণার্থী আছেন৷ কলম্বিয়ায় ১৮ লাখ, পাকিস্তান ও উগান্ডায় ১৪ লাখ করে আশ্রয় পেয়েছেন৷ জার্মানিতে প্রায় ১১ লাখ এবং বাংলাদেশে সাড়ে আট লাখ শরণার্থী আশ্রয় পেয়েছেন৷
দশ জনে চার জন শিশু
হিসেব অনুযায়ী, শরণার্থীদের ৪০ ভাগই শিশু, অর্থাৎ ১৮ বছর বয়সের নীচে৷ সংখ্যায় তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি৷