গ্রেমাউথের খনিতে আটকে পড়া ২৯ শ্রমিকের ভাগ্য এখনও অজানা
২০ নভেম্বর ২০১০প্রচেষ্টা যে থেমে গেছে তা নয়৷ কিন্তু বলা হচ্ছে যে, খনি অভ্যন্তরে যাওয়ার পথে বিষাক্ত গ্যাসের অস্তিত্ব এতোটায় বেশি যে উদ্ধারকর্মীদের পক্ষে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ দুর্ঘটনার শিকার খনিটি থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ করতো পাইক রিভার কোম্পানি৷ শনিবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে যে, নিখোঁজ খনি শ্রমিকদের সাথে এখনও কোন বেতার যোগাযোগ সম্ভব হয়নি৷ অবশ্য, প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পিটার হুইটল জানিয়েছেন, খনির ভেতরে বিশুদ্ধ বাতাস সঞ্চালন করা হয়েছে যাতে করে আটকে পড়া শ্রমিকরা নিরাপদ থাকে৷ তাঁর প্রত্যাশা, শ্রমিকরা ইতিমধ্যে খনির ভেতর বাঁচার মতো নিরাপদ জায়গা পেয়ে গেছে৷
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জন কি বলেছেন, আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে সব ধরণের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘প্রত্যেকের জন্যই এটা কঠিন মুহূর্ত তবে আমরা নিখোঁজ শ্রমিকদের সবাইকে জীবিত উদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷'' এদিকে, অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে খনির ভেতরে এবং বাইরে গ্যাসের তীব্রতা পরীক্ষা করার জন্য সহায়ক যন্ত্রপাতি সেখানে পাঠিয়েছে৷ একইসাথে আটকে পড়ে খনি শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড৷
জানা গেছে, নিখোঁজদের মধ্যে ১৭ থেকে ৬২ বছর বয়সি শ্রমিক পর্যন্ত রয়েছে৷ একজন শ্রমিক এবারই প্রথমবারের মতো কাজে গিয়েছিল যার বয়স মাত্র ১৭ বছর৷ তারা সমতল ভূমি থেকে প্রায় দেড়শ' মিটার অর্থাৎ ৫০০ ফুট নিচে রয়েছে৷ তবে সুড়ঙ্গ পথে তাদের অবস্থান প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরত্বে৷ সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে যে, সম্ভবত বিষাক্ত মিথেন গ্যাস বিস্ফোরণেই এই দুর্ঘটনার সূত্রপাত৷ দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরই দু'জন শ্রমিক বাইরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়৷ এসময় তারা সামান্য আহত হয়েছিল৷ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে আরো তিন শ্রমিক বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে তারা এমন খবর দিলেও এখন পর্যন্ত আর কাউকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়নি৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা