1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে

২২ এপ্রিল ২০২০

গ্রিসের মূল ভূখণ্ডে শরণার্থী শিবিরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে৷ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এমন স্থাপনা কোয়ারেন্টাইন করে পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করছে৷ ইইউ স্তরে শরণার্থী নীতি প্রণয়নের চেষ্টা করছে জার্মানি৷

https://p.dw.com/p/3bFLV
গ্রিসের একটা শরণার্থী শিবিরছবি: imago images/Xinhua/L. Partsalis

করোনা সংকট শুধু বিভিন্ন দেশের মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে না, যেসব মানুষ ভিটেমাটি ত্যাগ করে অন্য দেশে আশ্রয় খুঁজছেন, তারাও পড়েছেন ফ্যাসাদে৷ বিশেষ করে যারা কোনোভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন, তাদের ভাগ্যও থমকে গেছে৷ করোনা সংকটের ঠিক আগে তুরস্ক ইউরোপের উপর ‘প্রতিশোধ' নিতে শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়ায় গ্রিসে নতুন করে শরণার্থীদের ঢল নেমেছিল৷ এখন শরণার্থীদের মধ্যেও সংক্রমণ বেড়ে চলেছে৷

মঙ্গলবার গ্রিসের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পেলোপোনেসে উপদ্বীপে একটি হোটেলে শরণার্থীদের একটা বড় অংশ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷ ৪৭০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ জনের শরীরে এই ভাইরাস ধরা পড়েছে৷ সোমবারই গোটা স্থাপনা কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে৷ সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জায়গাটি বিচ্ছিন্ন করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, গ্রিসের মূল ভূখণ্ডেও দুটি শরণার্থী শিবিরেও একই কারণে কোয়ারান্টিন ঘোষণা করা হয়েছে৷

সরকারি সূত্র অনুযায়ী, গ্রিসে এই মুহূর্তে শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ৷ এর মধ্যে প্রায় ৩৯,০০০ বিভিন্ন দ্বীপে ছড়িয়ে রয়েছেন৷ সেখানে অবশ্য শরণার্থীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি৷ শরণার্থী শিবিরে কম জায়গায় অনেক মানুষকে পরস্পরের খুব কাছাকাছি থাকতে হয় বলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি৷ ফলে গ্রিসের সরকার গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছে৷ বিভিন্ন দ্বীপে শরণার্থী শিবিরে ভিড় বাড়ার কারণে সরকার ২,৩৮০ জন ঝুঁকিপূর্ণ শরণার্থীকে মূল ভূখণ্ডের শিবিরে আনার উদ্যোগ নিয়েছিল৷ ঠিক তার পরেই সংক্রমণের ঘটনা ঘটলো৷

করোনা সংকটের জের ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বিবেচনার প্রক্রিয়াও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে৷ ইউরোপের সীমান্তও কার্যত বন্ধ রয়েছে৷ এই অবস্থা কাটিয়ে তোলার উদ্যোগ নিতে চায় জার্মানি৷ চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ইইউ সভাপতি দেশের দায়িত্ব পালনের সময় ইউরোপীয় স্তরে সাধারণ এক আশ্রয় প্রণালী চালু করার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস৷ সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, লুক্সেমবুর্গ ও লিশটেনস্টাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সের পর তিনি এ কথা বলেন৷ বিশেষ করে আফ্রিকা থেকে আসা শরণার্থীদের ক্ষেত্রে সাধারণ শরণার্থী নীতি প্রয়োজন বলে মাস মনে করেন৷

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা সংকট সত্ত্বেও জার্মানি গ্রিসের শরণার্থী শিবির থেকে নিঃসঙ্গ নাবালকদের জার্মানিতে আশ্রয়ের উদ্যোগ চালিয়ে যাবে৷ উল্লেখ্য, গত শনিবার প্রথম ৪৭ নাবালক জার্মানিতে এসে পৌঁছেছে৷ সব মিলিয়ে ১,৬০০ নাবালক বিভিন্ন ইইউ দেশে আশ্রয় পাবে৷ ‘সেভ দ্য চিলড্রেন' সংগঠনের সূত্র অনুযায়ী গ্রিসের শরণার্থী শিবিরগুলিতে প্রায় ১৩,০০০ নাবালক কঠিন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে৷ অনেকের বাবা-মা বা পরিবার সঙ্গে থাকলেও তাদেরও সহায়তার প্রয়োজন বলে এই সংগঠন মনে করে৷

এসবি/এসিবি (এপি, ডিপিএ, কেএনএ)

৩ মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...