গ্রিস থেকে বেশি পাঠানো হচ্ছে পাকিস্তানিদের
গ্রিস থেকে যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তুরস্কে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পাকিস্তানি৷ লেসবসে এখনো অনেক পাকিস্তানি ইউরোপে থাকার জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, অনশন ধর্মঘট করছেন৷
‘সব অবৈধ’
লেসবসের স্থানীয় প্রশাসন মনে করে সেখানে শরণার্থী শিবিরের সবাই অবৈধভাবে গ্রিসে বসবাস করছে৷ লেসবসের মেয়র কার্যালয়ের প্রেস কর্মকর্তা জানালেন, শরণার্থী শিবির খালি করে শিগগিরই সবাইকে চলে যেতে হবে, না গেলে তারা পুলিশের সহায়তা নেয়া হবে৷
ধরা পড়ে ফেরার অপেক্ষায়
ইইউ-তুরস্ক চুক্তি অনুযায়ী ইতিমধ্যে গ্রিস থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তুরস্কে ফেরানো শুরু হয়েছে৷ তবে এখনো সিরিয়া, ইরাকসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এখনো অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী আসছেন গ্রিসে৷ ধরে ধরে ফেরতও পাঠানো হচ্ছে তাদের৷ ওপরের ছবিতে সাগর থেকে ধরে বাসে তোলা এক পাকিস্তানি৷
ফেরার পালা
গত ৮ এপ্রিল গ্রিস থেকে ২০২ জনকে তুরস্কে ফিরতে হয়েছে৷ তাদের মধ্যে ১৩০ জনই ছিল পাকিস্তানি৷ বাকিদের মধ্যে আফগান নাগরিক বেশি হলেও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ, কঙ্গো, ভারত, ইরান ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকও ছিল৷
পাকিস্তানিদের অনশন
লেসবসের মোরিয়া ক্যাম্পে অনশন ধর্মঘট করছেন পাকিস্তানি অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷ তাঁদের দাবি, ইউরোপে থাকতে দিতে হবে৷ পাকিস্তানের বালুচিস্তানের এক তরুণ তো ইলেকট্রিক ল্যাম্প পোস্টের ওপরে উঠে ইউরোপে থাকতে না দিলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দিয়েছিলেন৷ পরে তাকে নামিয়ে আনা হয়৷
নিঃস্ব এক পাকিস্তানি
ইজাজের বয়স ৩৮৷ ইউরোপে স্থায়ী হতে জমিজমা বিক্রি করে পাকিস্তান ছেড়েছেন৷ এখন তুরস্কে ফিরে যেতে হবে তাঁকেও৷ ইজাজ বলছিলেন, ‘তুরস্কে ফিরে যাওয়ার চেয়ে আমার মরে যাওয়াই ভালো৷’
পালিয়ে বাঁচা
পুলিশ এসেছে৷ ধরতে পারলেই তুরস্কে ফেরত পাঠানো হবে৷ তাই গ্রিস সীমান্তের এক শরণার্থী শিবির থেকে ছুটে পালাচ্ছেন এক পাকিস্তানি৷
বিনে পয়সার খাবার
গ্রিসেরই এক শরণার্থী শিবির৷ নাম ‘নো বর্ডার্স ক্যাম্প’৷ সেখানে বিনে পয়সায় খাবারের আশায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অপেক্ষা৷
শীতে আগুনের পরশ
এ পর্যন্ত যে ৩২৬ জনকে গ্রিস থেকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে ২০১ জনই পাকিস্তানি৷ এখানে শীতে আগুন পোহাচ্ছেন কয়েকজন পাকিস্তানি৷