গ্রিন-টি পান করার কারণ ও নিয়ম
গ্রিন টির উপকারিতার কথা জানা থাকলেও বাঙালিদের কাছে এই চা এখনও তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি৷ তবে সবুজ চায়ের যেমন গুণ রয়েছে, তেমনি আসল স্বাদ এবং উপকার পেতে চা তৈরির আলাদা নিয়মও রয়েছে৷ সেসব কথাই থাকছে ছবিঘরে৷
কালো এবং সবুজ চায়ের পার্থক্য
একই গাছের পাতা থেকে কালো এবং সবুজ চা তৈরি হয়৷ তবে পার্থক্য শুধুমাত্র প্রস্তুত করার নিয়মের মধ্যে৷ তাছাড়া নামেই বোঝা যায় ‘গ্রিন-টি’ তৈরি হয় কচি পাতা থেকে আর কালো চা তৈরি হয় পাতা পরিপক্ক হলে৷
চায়ের প্রকার ও গুণ
জমি বা মাটির কারণে এবং চা প্রস্তুতের ওপর নির্ভর করে চায়ের বিভিন্ন প্রকার এবং গুণমান৷ তাছাড়া চা পাতা হাতে তোলা হয়, নাকি মেশিনে কাটা হয় সেটাও এর একটা কারণ৷
সবুজ চায়ের দেশ
জার্মানিতে বেশিরভাগ সবুজ চা-ই আসে চীন, জাপান, তাইওয়ান এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে৷
যেভাবে তৈরি করলে পুরো উপকার পাবেন
গ্রিন-টির জন্য গরম পানির তাপমাত্রা হতে হবে ৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড৷ এতে চায়ের স্বাদ এবং ট্যানিন হবে কিছুটা হালকা, অর্থাৎ অনেক বেশি পান করা যাবে সেই চা৷ কারণ সবুজ চা যত খুশি পান করা যায়৷ এতে কোনো বাধা-নিষেধ নেই৷
চায়ের পাতা পানিতে কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে
চায়ের পাতা গরম পানিতে এক থেকে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন৷ অবশ্য সাধারণত এক মিনিটেই পাতার কফিন বেরিয়ে পরে৷ পাতা যত বেশি পানিতে থাকবে চায়ের স্বাদ ততটাই তেতো হবে৷ তবে দুই থেকে তিন মিনিট ভিজিয়ে রাখা হলে চায়ের আসল স্বাদ পাওয়া যায়৷
একাধিকবার চা পাতার ব্যবহার
গ্রিন-টি আসলে কেটলিতে তৈরি করলেই সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়৷ দু’কাপ পাতা কেটলিতে দিয়ে সমপরিমাণ পানি ঢেলে দেবেন৷ চা পানের পর আরো তিন বা চারবার এভাবেই পানি ঢেলে আবারো পান করতে পারেন৷ এই পরামর্শ জার্মানির সবুজ চা বিষয়ক এক্সপার্ট সুজানে আলব্রেশ্টের৷
চায়ের স্বাদ
দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বার ভেজানো পাতার চা খেতে সবচেয়ে ভালো লাগে৷ তবে প্রথমবার ভেজানো পাতার স্বাদে একটু বেশি তেতোভাব থাকে৷
গ্রিন-টি কেন খাবেন
এতে বিভিন্ন মিনারেল ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘ই’, ‘সি’ এবং ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম, যা প্রতিটি মানুষের শরীরের জন্যই প্রয়োজন৷ তাছাড়াও গ্রিন-টি মানুষকে সুস্থ রাখে এবং মানুষের আয়ু বাড়াতে সহায়তা করে৷
তাছাড়াও...
গ্রিন-টি শরীরে রক্তের প্রবাহ ঠিক রাখে এবং ধমনীকেও শিথিল করে৷ শুধু তাই নয়, সবুজ চা যে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতেও সহায়ক, সেকথা জানান গ্রিক গবেষকরা৷ জার্মান গবেষকদের মতে, সবুজ চা আলৎসহাইমার রোগের জন্যও উপকারী৷
জার্মান নারী ও সবুজ চা
জার্মানিতে তুলনামূলকভাবে পুরুষদের চেয়ে নারীরাই বেশি গ্রিন-টি পান করেন, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মেয়েরা৷ শুধু তাই নয়, সৌন্দর্য চর্চায়ও আজকাল অনেক নারী সবুজ চা ব্যবহার করেন৷