গ্রাউন্ড জিরো’র কাছেই মসজিদ হচ্ছে
১২ আগস্ট ২০১০এর মাত্র দুই ব্লক দূরে মসজিদ সহ একটি ইসলামি সেন্টার নির্মাণ করতে চায় একটি সংস্থা৷ নাম ‘কর্দোবা ইনিশিয়েটিভ'৷ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক আরও গভীর করাই হচ্ছে এই সংস্থার কাজ৷
কিন্তু এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন অনেকেই৷ তাঁরা বলছেন, টুইন টাওয়ারের এত কাছে মসজিদ নির্মাণের মানে হলো, ঐ বোমা হামলায় নিহতদের অসম্মান করা৷ উল্লেখ্য, প্রায় তিন হাজার লোক মারা গিয়েছিল ঐ ঘটনায়৷ ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার কাজ ছিল এটি৷
বিরোধিতা তীব্র রূপ নেয় গত সপ্তাহে৷ কারণ নিউ ইয়র্কের ল্যান্ডমার্কস প্রিজারভেশন কমিশনের একটি সিদ্ধান্ত৷ ঘটনাটা এরকম – যেখানে মসজিদ তৈরির কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এখন একটি বিল্ডিং রয়েছে৷ মসজিদ তৈরির জন্য ঐ বিল্ডিং ভেঙে ফেলতে হবে৷ মার্কিনিরা চাইছিল, কমিশন যেন ঐ বিল্ডিংকে ঐতিহাসিক স্থাপনা বলে রায় দেয়৷ তাহলে আর বিল্ডিং ভাঙা যাবেনা৷ কিন্তু মার্কিনিদের এই ইচ্ছার বিরুদ্ধে রায় দেয় কমিশনের সব সদস্য৷ এর মানে হলো, বিল্ডিং ভেঙে মসজিদ নির্মাণে আর কোনো বাধা রইলোনা৷
কিন্তু বিরোধীরা থেমে নেই৷ প্রতিবাদ করে যাচ্ছে অনবরত৷ তাইতো এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে এসেছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর ডেভিড পিটারসন স্বয়ং৷ মসজিদ নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি৷ অবশ্য ঐ স্থানে মসজিদ নির্মাণ করতে দিতে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কোনো আপত্তি নেই৷ শুধুমাত্র বিরোধীদের কথা চিন্তা করে তিনি চান মসজিদটি যেন গ্রাউন্ড জিরোর এত কাছে না হয়ে আরেকটু দূরে সরিয়ে নেয়া হয়৷ তাই এমনটাই প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি মসজিদ নির্মাতাদের৷
কিন্তু উদ্যোক্তারা গভর্নরের এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পিটারসন নিজেই৷
এদিকে গত মঙ্গলবারের এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, শতকরা ৫৩ শতাংশ মার্কিনি চান না মসজিদটি প্রস্তাবিত স্থানে নির্মিত হোক৷ মাত্র ৩৪ শতাংশ মার্কিনি প্রস্তাবিত স্থানেই মসজিদ নির্মাণের পক্ষে বলেছেন৷ কোনো মন্তব্য করেননি ১৩ শতাংশ মার্কিনি৷
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত এই ইসলামিক সেন্টারটি হবে ১৫ তলা বিশিষ্ট৷ সেখানে ৫০০ আসনের একটি মিলনায়তন সহ একটি সুইমিং পুল ও একটি জিমনেসিয়ামও থাকবে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন