1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোপন সামরিক আদালতের রায়ে আবু তাহেরের ফাঁসি অবৈধ: হাইকোর্ট

২২ মার্চ ২০১১

কর্নেল আবু তাহেরকে গোপন সামরিক আদালতের রায়ে দেয়া ফাঁসিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট৷ আদালত বলেছেন, ৩৫ বছর আগে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বিচারের নামে তাহেরকে হত্যা করেন৷

https://p.dw.com/p/10fMg
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

আদালত মনে করেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জিয়া জড়িত ছিলেন৷ আর জিয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকেও হত্যা করছেন৷ আদালত এব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন৷

কর্নেল তাহেরকে গোপন সামরিক আদালতের রায়ে ফাঁসি দেয়া হয় ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই৷ আর ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছিল এর ৪ দিন আগে৷ সামরিক আদালত আরো ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়েছিল৷ তাহেরের পরিবার গত আগষ্টে সামরিক আদালতের বিচারকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন৷ হাইকোর্টের বিচারপতি এ এইচ কে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন আজ রায় দেন৷ রায়ে গোপন সামরিক আদালতের তাহেরকে দেয়া ফাঁসিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, সামরিক শাসক জিয়া তাঁর ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বিচারের নামে তাহেরকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছেন৷ যা সাংবাদিকদের জানান অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এম কে রহমান৷

আদালত বলেছেন, ওই সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে৷ সেইসব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং তাহেরের সঙ্গে আরো যাদের গোপন বিচার করা হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত৷ আর তাহেরকে শহীদের মর্যাদায় ভূষিত করতে বলা হয়েছে৷ আদালত মনে করেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়া জড়িত ছিলেন৷ তিনিই ছিলেন মূল পরিকল্পনাকারী৷

আদালত এই মামলায় সরকারী বেসরকারী সবপক্ষের বক্তব্য শুনেছেন৷ বক্তব্য শুনেছেন বিদেশি সাংবাদিক লরেঞ্জ লিফশুলজের৷ আর নিয়োগ করেন ১১ জন এমিকাস কিউরী৷ তাদের দেয়া তথ্য উপাত্ত এবং স্বাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন৷ রায়ের পর তাহেরের পরিবার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তাহের যে দেশপ্রেমিক ছিলেন তা আবারো প্রমাণ হল৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন