1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাদ্দাফি পরবর্তী যুগের নারীরা

তামসিন ওয়ালকার/এপিবি২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

প্রায় ৪২ বছরের স্বৈরশাসনের পর গাদ্দাফির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের সূচনা হয় লিবিয়ায়৷ এরপর গত তিন বছরে সেখানকার নারীরা চেষ্টা করছেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে৷ কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/1BDKF
Libyen Frauen Proteste
ছবি: AP

গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়াতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনেক নারীই এখন ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারছেন, যা আগে কল্পনাই করা যেত না৷ ত্রিপোলিতে এমন নারীদের সংখ্যা বেশি হলেও লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের চিত্রটা এখনও আগের মতোই৷ ধর্মান্ধতা এবং উগ্রপন্থি দলগুলোর আধিপত্যের কারণে নারীরা স্বাধীনভাবে কোনো ব্যবসা করতে পারছেন না সেখানে৷

লিবিয়া বিপ্লবের সাথে যুক্ত ছিলেন মাগডুলেইন আবাইদা৷ লড়াই থেমে যাওয়ার পর ২০১২ সালে নারী অধিকার সংস্থার সাথে কাজ শুরু করেন তিনি৷ বেনগাজি থেকে অন্য জঙ্গি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে তিনি প্রচারণা চালাতেন নারী অধিকারের পক্ষে৷

কিন্তু এই প্রচারণা করতে গিয়ে একটি দলের অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি৷ আবাইদা জানান, যে দলটি তাঁকে অপহরণ করেছিল তারা একটি ইসলামি কট্টরপন্থি দলের সদস্য ছিল৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি জানান, ঐ দলের সদস্যরা তাঁকে বলেছিল পশ্চিমা ভাবধারা নিয়ে যারা চলবে তাদের বিনষ্ট করা হবে৷

মুক্তির পর আবাইদা যুক্তরাজ্যের কাছে আশ্রয় চাইলে সেখানে ঠাঁই হয় তাঁর৷ তিনি জানান, লিবিয়ায় বিপ্লবের পর নারীদের অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে৷ বিপ্লবের আগে মানুষ রক্ষণশীল ছিল, কিন্তু সমাজব্যবস্থায় সে রক্ষণশীলতার ছাপ ছিল না৷ কিন্তু এখন অবস্থা ভিন্ন৷

তিনি জানান, বিপ্লবের সময় যে সমস্ত যোদ্ধা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁদের মনোভাব ছিল এমন যে, নারীরা শুধু যোদ্ধাদের জন্য রান্না করবে৷ এতটুকুই ছিল নারীদের প্রয়োজন৷ এমনকি তাঁদের বাধ্য করা হয়েছিল বিপ্লবে সরাসরি অংশ না নিতে৷

লিবিয়ার একটি আন্তর্জাতিক তহবিলের গবেষণা ব্যবস্থাপক রোলা আব্দুল লতিফ জানালেন, এখনও যেসব নারীরা আইনসহ বিভিন্ন পেশায় আছেন, তাঁদের সবসময় বেশ চাপের মধ্যে থাকতে হয়৷

আবাইদা মনে করেন, নারীদের রাজনীতি এবং নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখতে সমাজ আজও প্রস্তুত নয়৷ তাই আরো পরিবর্তন দরকার এবং এতে অনেক সময় লাগবে৷

২০১২ সালে ওমনিয়া ইতায়ারি একটি প্রশিক্ষণ ও কনসাল্টেন্সি ফার্ম শুরু করেন, যেখানে নারীদের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও আত্মসচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷ সম্প্রতি তিনি একটি পরীক্ষা করেছেন৷ তিনি ফেসবুকে তাঁর বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন লিবিয়া গঠনে নারীর ভূমিকা সম্পর্কিত ধারণা চেয়ে৷ কিন্তু এর জবাব যেগুলো পেয়েছেন, তাতে বিস্মিত হয়েছেন তিনি৷ নারী ও পুরুষ উভয়ই পরবর্তী প্রজন্মকে লিবিয়া গঠনের হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন৷

তিনি জানান, সবাই লিখেছেন, নারীদের ঘরে থাকা উচিত আর পরবর্তীতে দেশ চালাবে এমন প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার মূল দায়িত্ব তাঁদের৷ তবে ইতায়ারি এও মনে করেন, এই সব নারীদের আশেপাশে কোনো সফল নারীর দৃষ্টান্ত নেই৷ আর সে কারণেই হয়ত তাঁরা কোনো উৎসাহ পান না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য