1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাদ্দাফি নিয়ন্ত্রিত বাকি অঞ্চলের দখলের চেষ্টায় এনটিসি

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১

অবশেষে গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর কবল থেকে সির্ত ও বানি ওয়ালিদ দখল করতে চলেছে লিবিয়ার নতুন শাসক বাহিনী৷ সার্কোজি ও ক্যামেরনের পর এবার ত্রিপোলি এলেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এর্দোয়ান৷

https://p.dw.com/p/12ae2
বানি ওয়ালিদের পথে এনটিসি বাহিনীছবি: dapd

দেশের বাকি অংশ প্রায় গাদ্দাফি মুক্ত হয়ে গেলেও গাদ্দাফির জন্মস্থান সির্ত ও বানি ওয়ালিদ কিছুতেই দখল করতে পারছিল না সরকারি বাহিনী৷ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অবরোধের পর শুক্রবার তারা সরাসরি এই দুই শহরের উপর হামলা শুরু করে৷ দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ গাদ্দাফির বাহিনী আত্মসমর্পণ করার বদলে তুমুল প্রতিরোধের পথ বেছে নিয়েছে৷ এই দুই শহরের পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়৷ শহরের বাইরে যেসব সাংবাদিকরা রয়েছেন, তারা গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ এবং কালো ধোঁয়ার কথা বলছেন৷ ন্যাটো বাহিনীর বিমানও আকাশ থেকে সক্রিয়ভাবে সরকারি বাহিনীকে সাহায্য করছে৷ মনে রাখতে হবে, এনটিসি এর আগে গাদ্দাফির অনুগামীদের আত্মসমর্পণের একাধিক সুযোগ দিয়েছিল৷ কিন্তু তারা রাজি না হওয়ায় সংঘাতের পথই বেছে নিতে হলো৷

Flash-Galerie Rebellen Libyen
গাদ্দাফি বাহিনীকে উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর এনটিসি বাহিনীছবি: dapd

আপোশ করতে প্রস্তুত নয় গাদ্দাফি বাহিনী

এনটিসির এক যোদ্ধা মনে করিয়ে দিয়েছে, যে গাদ্দাফি ৪২ বছর ধরে নিজের জন্মস্থান সির্ত'এ অস্ত্রের ভাণ্ডার জমিয়ে এসেছে৷ তার অনুগামীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রয়েছে৷ গাদ্দাফির মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম বলেছেন, হাজার হাজার মানুষ গাদ্দাফির জন্য লড়তে প্রস্তুত৷ সাবহা শহরেও তারা প্রস্তুত রয়েছে৷ তিনি ন্যাটোর বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষের হত্যার অভিযোগ আনেন৷ ন্যাটো অবশ্য তা অস্বীকার করে বলেছে, শুধুমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুর উপরই হামলা চালানো হচ্ছে৷

Libyen Türkei Ministerpräsident Recep Tayyip Erdogan in Tripolis
ত্রিপোলি সফলে এর্দোয়ানছবি: picture-alliance/dpa

ত্রিপোলি সফরে এর্দোয়ান

গাদ্দাফি বিরোধী জোট এনটিসি প্রায় ৪ সপ্তাহ আগে ত্রিপোলি দখল করার পর বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি ত্রিপোলি সফরে এসে দেশের নতুন নেতৃত্বের প্রতি সংহতি ও সহায়তার আশ্বাস দেন৷ তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ানও শুক্রবার স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটানোর জন্য লিবিয়ার জনগণকে অভিনন্দন জানান৷ এর আগে তিনি টিউনিশিয়া ও মিশরে গিয়ে দুই দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন৷ আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে তুরস্ক আরব বিশ্বে গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তাছাড়া ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মতো তুরস্কও উত্তর আফ্রিকায় বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা পেতে আগ্রহী৷ তুরস্ক এর আগে এনটিসি'কে ৩০ কোটি ডলার সাহায্য দিয়েছে৷ ত্রিপোলিতে জনতার উদ্দেশ্যে এর্দোয়ান বলেন, ‘‘আপনারাই গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, যে জনগণের শক্তি ও ইচ্ছার সামনে কোনো প্রশাসন দাঁড়াতে পারে না৷ সিরিয়ায় যারা আজ জনগণের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে, তারাও নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না, বলেন এর্দোয়ান৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান