1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজা সফর করলেন জিমি কার্টার

১৭ জুন ২০০৯

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মঙ্গলবার গাজায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন৷ এসময় তিনি হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি সৈন্য গিলাদ শালিতের পিতা-মাতার পক্ষ থেকে একটি চিঠি হানিয়ার হাতে তুলে দেন৷

https://p.dw.com/p/IC64
গাজায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার কার্যালয়ে জিমি কার্টারছবি: AP

ইসমাইল হানিয়ার সাথে বৈঠককালে জিমি কার্টার গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানান৷ কার্টার বলেন, ফিলিস্তিনিদের সাথে পশুর মতো আচরণ করা হচ্ছে৷ এছাড়া তিনি ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি - উভয়ের বিরুদ্ধে যে কোন সহিংসতার সমাপ্তির ডাক দেন৷ গাজা ভূখণ্ডে হামাস সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়ার সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই ভূখণ্ড আমাদের সবার কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান এবং আমরা সবাই আব্রাহামের সন্তান৷ তাই এখানে শান্তি বিরাজ করবে এটিই আমার প্রত্যাশা৷

সংবাদ সম্মেলনে হানিয়া বলেন, ১৯৬৭ সালের ৪ জুনের সীমানা অনুযায়ী একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে যদি প্রকৃতই ফিলিস্তিনি সমস্যার সমাধানের পরিকল্পনা থাকে তবে হামাস এর পক্ষে৷ এছাড়া হানিয়া ৪ জুন মুসলিম বিশ্বের উদ্দেশ্যে দেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কায়রো বক্তৃতার প্রশংসা করেন৷ ওবামার কায়রো বক্তৃতা সম্পর্কে তিনি বলেন, মার্কিন নীতির পরিভাষায় আমরা একটি নতুন সুর, নতুন ভাষা এবং নতুন তেজ লক্ষ্য করেছি৷ প্রসঙ্গত, আমেরিকা, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হামাসের কাছ থেকে এমন প্রশংসার ঘটনা বিরল৷ হামাস এতদিন পর্যন্ত ইহুদি রাষ্ট্রের বিলুপ্তির দাবি করে আসছিল৷ গোঁড়া ইসলামি গোষ্ঠী হামাস দুই বছর আগে পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছ থেকে গাজার অধিকার ছিনিয়ে নেয়৷

পরে তেল আভিভে এক সংবাদ সম্মেলনে জিমি কার্টার জানিয়েছেন যে, তিনি শুক্রবার জেরুসালেমে গিলাদ শালিতের পিতা নোয়াম শালিতের সাথে দেখা করেন৷ গিলাদ শালিতের জন্য নোয়ামের দেয়া একটি চিঠিও হামাস নেতাদের দিয়েছেন বলে তিনি জানান৷ এছাড়া গিলাদ শালিত জীবিত এবং ভালো আছেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন