1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নীড়, তবে পাখির নয়

মনিরুল ইসলাম২২ মার্চ ২০১৩

অনেক, অনেক কাল আগের কথা৷ সভ্যতার উন্মেষ হয়নি তখনও৷ সেই সময় মানুষ থাকত গাছের ডালে৷ পাখির মতো৷ সেই সময় গত হয়েছে, তাও অনেক কাল আগে৷

https://p.dw.com/p/OxkL
গাছে ঘুমাতে খুব একটা খারাপ লাগবে না আশা করিছবি: dpa

তবে পূর্ব পুরুষের সেই আবাস এখনো মানুষের মনে দোলা দিয়ে যায়৷ তাই হয়তো শৈশবে সবাই হতে চায়, পাখির মতো আকাশে উড়ে বেড়াতে, গাছে নীড় বেঁধে থাকতে৷ সেই স্বপ্ন বাস্তব করতেই ট্রি হাউস হোটেল৷

বার্লিন থেকে দক্ষিণে গাড়ি চালিয়ে তিন ঘণ্টার পথ পাড়ি দিলে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে সেনডেনডর্ফে আছে কুলটার্নিসেল আইসিয়েডেল, একটি পার্ক৷ আর সেখানেই অনেকগুলো পাখির বাসা, গাছে ঝুলছে৷ তবে আকারে অনেক বড়, পাখির জন্য নয়, মানুষের জন্য৷ সুইস ফ্যামিলি রবিনসন কিংবা টারজান দেখে যারা কল্পনার জাল বুনেছেন, কল্পনার সেই রূপ বাস্তবে ধরা দেবে তাদের কাছে৷

২০০৬ সালে যাত্রা শুরু হয়েছে পাখির, থুড়ি মানুষের এই নীড়ের৷ শুরুটা করেছেন জার্গেন ব্যার্গমান৷ ছোট বেলায় পাখির নীড়ে থাকার স্বপ্ন ছিল তাঁরও৷ শিল্পীমন বড় হয়ে মনোযোগ দেন স্বপ্ন বাস্তবায়নে৷ ব্যার্গমান বলেন, ছেলেবেলার স্বপ্ন অনেকে পুষে রাখেন বড় বেলাতেও৷ তাদের জন্যই ট্রি হাউস হোটেল৷

মাটি থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরে গাছে গাছে ঘর৷ একটি গাছে কয়েকটি ঘর, ঘর লাগোয়া বেলকনিও আছে৷ প্রতিটি ঘরে চার জনের রাত কাটাতে খরচ পড়বে ১৮০ থেকে ২২০ ইউরো৷ একটি ঘর থেকে অরেকটি ঘরে যাওয়ার ব্যবস্থাও আছে৷ তবে ডাল বেয়ে উঠতে হবে না৷ রয়েছে মইয়ের সিঁড়ি৷ বিদ্যুৎ-পানির ব্যবস্থা আছে৷ তবে গরম জল পাবেন না৷

কুলটার্নিসেল আইসিয়েডেল পার্কের মধ্য দিয়েই বয়ে চলেছে নদী৷ নদীতে একটি জাহাজও ভাসছে৷ নদীর বুকে আছে একটি দ্বীপ, যার নাম আইসক্রিম আইল্যান্ড৷ সেখানে রাতে বসে কল্পকথার আসর৷ সব মিলিয়ে প্রকৃতির কাছাকাছি যারা থাকতে চান, তারা চলে যেতে পারেন সেখানে৷ জেনে রাখুন, এই ট্রি হাউস হোটেল খোলা থাকে মার্চ থেকে অক্টোবর অব্দি৷