1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাঁজা-কোকেনের নেশা বাড়ছে জার্মানিতে

৮ অক্টোবর ২০২১

জার্মানিতে গাঁজা, কোকেনের মতো মাদকের ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মাদক সংক্রান্ত অপরাধও।

https://p.dw.com/p/41QJB
জার্মানিতে কোকেনের ব্যবহার বাড়ছে। ছবি: Christoph Hard/Geisler-Fotopress/picture alliance

বৃহস্পতিবার সরকার ড্রাগ-রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আর সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে, জার্মানিতে মাদক ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে।

জার্মানির ড্রাগ কমিশনার মাদকাসক্তি দূর করার জন্য আরো অর্থ সাহায্যের আবেদন করেছেন। তার মতে, করোনাকালে মানুষের মনের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। তার প্রভাব মাদক ব্যবহারের উপর পড়েছে।

রিপোর্ট কী বলছে

বার্ষিক রিপোর্টে আইনি ও বেআইনি মাদকের ব্যবহার, মাদক পাচার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আছে। বলা হয়েছে, জার্মানির বেআইনি মাদক-বাজারে গাঁজা ও তার সঙ্গে যুক্ত মাদকেরই রমরমা। ২০২০ সালে মাদক-বাণিজ্য সংক্রান্ত অপরাধের ৫৯ শতাংশই এর সঙ্গে যুক্ত।

হেরোইন অন্য মাদক সংক্রান্ত অপরাধ করোনাকালে কমেছে। আসলে বার, পাব ও ক্লাব বন্ধ থাকার জন্যই এটা হয়েছে বলে রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে।

২০২০-তে কোকেন পাচার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। আগের বছরের তুলনায় তা নয় দশমিক ছয় শতাংশ বেড়েছে।

এই রিপোর্টে মাদক ব্যবহারের ক্ষেত্রে করোনার প্রভাবের বিষয়টি যেমন বোঝা যাচ্ছে, তেমনই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন্ডও দেখা যাচ্ছে।

২০১৫-র সঙ্গে তুলনামূলক একটা খতিয়ান হলো, তামাক ব্যবহার পাঁচ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট কমেছে। ক্ষতিকর মদ খাওয়ার পরিমাণও দুই পার্সেন্টেজ পয়েন্ট কমেছে। 

কিন্তু ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সিদের মধ্যে গাঁজা খাওয়ার পরিমাণ নয় পার্সেন্টেজ পয়েন্ট বেড়েছে। কোকেনের ব্যবহার এক দশমিক দুই শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে দুই দশমিক নয় শতাংশ।

করোনার প্রতিক্রিয়া

মাদকের ব্যবহার ও মাদকাসক্তি ছাড়ানোর চেষ্টার ক্ষেত্রে করোনা যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। ড্রাগ কমিশনার ড্যানিয়েলা লুডউইগ জানিয়েছেন, ''করোনার ফলে কাউন্সেলিং সেন্টার ও থেরাপিস্টদের সঙ্গে মাদক ব্যবহারকারীদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এই ব্যবস্থা যাতে ভেঙে না পড়ে, আমরা তার জন্য চেষ্টা করেছি।''

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, করোনাকালে আরেকটা বড় পরিবর্তন হয়েছে। এখন অনলাইনে মাদক পাওয়া যাচ্ছে ও মানুষ তা কিনছে। লুডউইগ বলেছেন, জার্মানি যাতে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের কেন্দ্র না হয়ে ওঠে, তা আমাদের দেখতে হবে। জার্মান সরকারকে এজন্য উদ্যোগী হতে হবে।

রেবেকা স্টডেনমেয়ার/জিএইচ