1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গলে জল গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাঁই

২১ আগস্ট ২০২০

২০১৯ সালে রেকর্ড পরিমাণ বরফ গলেছে গ্রিনল্যান্ডে। উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা।

https://p.dw.com/p/3hHIo
ছবি: Imago Images

বিশ্বের অধিকাংশ দেশ কি ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাবে? সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের হাতে যে তথ্য এসে পৌঁছেছে, তাতে এ প্রশ্ন আর খুব অবান্তর নয়। ২০১৯ সালে রেকর্ড পরিমাণ বরফ গলেছে গ্রিনল্যান্ডে। যার জেরে সমুদ্রে জলের স্তর এক দশমিক পাঁচ মলিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ট্রেন্ড বজায় থাকলে দ্রুত জলের তলায় চলে যেতে পারে বহু দেশ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০১৯ সালে গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলার যে তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে, তা অভূতপূর্ব।

গ্রিনল্যান্ডের বরফ যে দ্রুত গলতে শুরু করেছে, তা আগেই টের পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। দু'টি দৃশ্য রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল বছরখানেক আগে। বিশাল বরফের দেওয়াল ভেঙে পড়ছে এবং কুকুররা গলা বরফের উপর দিয়ে স্লেজ টানছে। জলে ডুবে যাচ্ছে তাদের পা। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই শতকে ২০১২ সালে সব চেয়ে বেশি বরফ গলেছিল গ্রিনল্যান্ডে। ২০১৯ সালে সেই রেকর্ডও ভেঙে গিয়েছে। শুধু মাত্র ২০১৯ সালেই ৫৩২ গিগাটন বরফ গলে গিয়েছে গ্রিনল্যান্ডে। এই হারে বরফ গলতে থাকলে গোটা বিশ্ব ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, প্রতি বছর একই হারে বরফ গলছে না। ২০১৬ সালে যে হারে বরফ গলেছিল, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে সেই হারে বরফ গলেনি। বরং ওই দুই বছরে গরমকালেও যথেষ্ট ঠান্ডা ছিল মেরু অঞ্চলে। ২০১৮ সালে গরমে বরফও পড়েছে সেখানে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক বছর, দুই বছর পর পর একবার করে উষ্ণপ্রবাহ আসে গ্রিনল্যান্ডে। সে সময় বায়ুর চাপও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তারই জেরে এই পরিমাণ বরফ গলতে থাকে।

২০২০ সালের একটি প্রাথমিক রিপোর্ট বিজ্ঞানীদের হাতে এসেছে। তাতে এখনও পর্যন্ত উদ্বেগজনক বরফ গলার কোনও চিত্র পাওয়া যায়নি।

গ্রিনল্যান্ডে একেকটি বরফের চাদর দুই থেকে তিন কিলোমিটার পুরু। বিশ্বের অধিকাংশ সমুদ্র ওই বরফের জল থেকেই তৈরি। ২০১৯ সালে তেমনই কিছু বরফের চাদর বিপুল পরিমাণে গলে গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন বোঝার চেষ্টা করছেন, কত দিন পর পর গ্রিনল্যান্ডে উষ্ণপ্রবাহ আসতে পারে। সেই হিসেব অনুযায়ী বরফ গলতে থাকলে বছরে কত শতাংশ করে সমুদ্রের জল বৃদ্ধি পেতে পারে। আরও একটি বিষয়ে শতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের বক্তব্য, উষ্ণায়ন একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। কিন্তু দূষণ তার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। দ্রুত কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে না পারলে, প্রকৃতি আরও ভয়াবহ আচরণ করবে। তখন আর কিছু সামলানো যাবে না।

এসজি/জিএইচ (রয়চার্স, বিবিসি)