1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গরমে পশ্চিমের মানুষ নাজেহাল

৯ জুলাই ২০১৩

ফিটনেস পশ্চিমে প্রায় একটা জীবনধারা বলা চলে৷ বিশেষ করে গ্রীষ্মে সাইকেল চড়া, অথবা জগিং, কিংবা অন্য ধরনের দৌড়ঝাঁপ৷ তবে ঠিকমতো গরম পড়লে শুধু জিভই নয়, প্রাণ বের হওয়ার উপক্রম হয়৷ আবার দিন দশেকের মধ্যে তাতে অভ্যাসও হয়ে যায়৷

https://p.dw.com/p/193zR
ছবি: Reuters

ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ সুস্থ মানুষজনের গরমে ‘এক্সারসাইজ' করায় অভ্যস্ত হতে দশ থেকে পনেরো দিন সময় লাগে৷ তবে তার শর্ত হলো, গরমের মধ্যেও এক্সারসাইজ চালিয়ে যেতে হবে৷ এ কথা বলেছেন অ্যামেরিকান কাউন্সিল অফ এক্সারসাইজ-এর চিফ সায়েন্স অফিসার ড. সেড্রিক ব্রায়ান্ট৷

ব্রায়ান্ট রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেন, গরমে অভ্যস্ত মানুষজনের তাড়াতাড়ি ঘাম হয় আর সেই ঘামও বেশি পাতলা হয়৷ কাজেই ডিহাইড্রেশনের ভয় কম থাকে৷ গরমে অভ্যস্ত মানুষদের গরমে এক্সারসাইজ করলে শরীরে কম উত্তাপের সৃষ্টি হয়, ফলে শরীরের গড় তাপমাত্রা নীচের দিকে থাকে৷

Brasilien Copacabana
গরমে সরগরম ব্রাজিলের কোপাকাবানা বিচছবি: Vanderlei Almeida/AFP/Getty Images

ব্রায়ান্ট বলেন, (পশ্চিমে) সুস্থ মানুষজনের ২৫ শতাংশ গরম সহ্য করতে পারেন না, যদি না তাঁরা তাতে অ্যাক্লিমেটাইজড বা অভ্যস্ত থাকেন৷ মজার কথা, একবার তাঁরা গরমে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার পরে জনসংখ্যার মাত্র দুই শতাংশ ‘হিট ইনটলারেন্স' বা গরমে কষ্ট পাবার লক্ষণ দেখান৷ সেটাও খুব কম নয়: ২০১১ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ছ'হাজার মানুষ গরমে খেলাধুলা কিংবা অন্যরকমের সময় কাটানোর কাজকর্ম করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁদের জরুরি চিকিৎসা দিতে হয়৷

গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রথম লক্ষণ হলো ঠিকমতো কথাবার্তা বলতে না পারা, বলেন ড. ব্রায়ান্ট৷ তাই ব্যায়াম করার সময়ে খেয়াল রাখা উচিত, এক্সারসাইজের তীব্রতা যেন কম থাকে৷ এটা হলো প্রথম দিকের কথা৷ পরে একবার গরমে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ওয়ার্কআউটের তীব্রতা বাড়ানো যেতে পারে৷

গরমে অভ্যস্ত হবার নানা পন্থা আছে৷ কনেকটিকাটের এক ফিটনেস ট্রেনার জানিয়েছেন, তিনি নাকি মাসখানেক হঠযোগ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের হিট ওয়েভটা গায়েও মাখেনননি৷ ওদিকে টেনিস তারকা রজার ফেডারার দুবাইতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে টেনিস খেলে ইউএস ওপেনের প্রস্তুতি নেন৷ ম্যারাথন দৌড়বীররা বলেন, মালয়েশিয়ার মতো গরমে ম্যারাথন দৌড়াতে গেলে স্পিড কমিয়ে দেওয়াই ভালো৷ গরমে ম্যারাথন দৌড়ের মুশকিল নাকি এই যে, শরীরের রক্ত বুঝে উঠতে পারে না, সে পেশিতে গিয়ে দৌড়ানোর শক্তি যোগাবে, নাকি ত্বকে গিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখার কাজ করবে৷

সবশেষে মনে রাখা দরকার, হিট অ্যাক্লিমাটাইজেশন বা গরমে অভ্যস্ত হয়ে যাবার প্রভাবটা খুব তাড়াতাড়ি উবেও যায়৷ দু'দিন গরম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চললেই একদিনের গরম সহ্য করার অভ্যাস নষ্ট হয়৷ কাজেই দু-তিন সপ্তাহ কিছু না করলেই আবার গোড়া থেকে শুরু করতে হয়৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য