1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গরম নিয়ে রেড অ্যালার্টের মধ্যে দিল্লিতে ভোট

২২ মে ২০২৪

দিল্লি, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে গরম নিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করলো আবহাওয়া অফিস।

https://p.dw.com/p/4g7uB
কলকাতার একটি বুথে ভোটদাতাদের দরমের হাত থেকে বাঁচাতে কুলার রাখা হয়েছে।
গরমের হাত থেকে বাঁচতে বুথে কুলারের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। ছবি: Satyajit Shaw/DW

মধ্যপ্রদেশে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আর কেরালা ও তামিলনাড়ুতে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

গত সোমবার দিল্লিতে তাপমাত্রা ছিল ৪৭ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে প্রায় চার ডিগ্রি বেশি। আগামী পাঁচদিনেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করবে।

দিল্লিতে লোকসভা নির্বাচন ২৫ মে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী সেসময় তাপপ্রবাহ চলবে, গরম হাওয়া বইবে। রেড অ্যালার্টের মধ্যেই ভোট হবে। এছড়া হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশেও রেড অ্যালার্টের মধ্যেই ভোট হবে। ফলে এই রাজ্যগুলিতে মানুষকে প্রবল গরম উপেক্ষা করে ভোট দিতে হবে।

এছাড়া ২৫ তারিখ বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, জম্মু ও কাশ্মীর ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু কেন্দ্রে ভোট।

আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, দিল্লি-সহ পাঁচ রাজ্যে আগামী পাঁচ দিন মানুষ তীব্র গরমের হাত থেকে রক্ষা পাবেন না। এই পাঁচ রাজ্যে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রিতে পৌঁছাবে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত মানুষকে ঘরের ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে। না হলে অত্যাধিক গরমে শরীর খারাপ হতে পারে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই সময়ে প্রচুর জল খেতে হবে। লেবুর সরবৎ খাওয়া ভালো। হালকা সুতির পোশাক পরা উচিত।

নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা

প্রচণ্ড গরমে ভোট দিতে যাতে মানুষের কষ্ট না হয়, তার জন্য নির্বাচন কমিশন বুথে কুলারের ব্যবস্থা করেছে। মিস্ট ফ্যান ও ঠান্ডা পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক দলগুলির আশঙ্কা

রাজনৈতিক দলগুলিও চিন্তায়। দিল্লির বিজেপি নেতা সলিল নন্দী ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''সকাল সাতটা থেকে নয়টার মধ্যেই ভোটদাতারা বেশি করে বুথে আসবেন। তারপর বিকেল পাঁচটা থেকে ছয়টায় আবার কিছু ভোট পড়বে। যা গরম পড়েছে তাতে খুব বেশি মানুষ দুপুরে ভোট দিতে বেরোবেন বলে মনে হচ্ছে না।''

দিল্লির আপ নেতা অনুপ ঠাকুর ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''এখন দুপুরের দিকে মানুষ নিতান্ত দরকার ছাড়া বেরোতে চাইছেন না। সকাল দশটার আগে বা বিকেল সাড়ে চারটের পর মানুষ বেশি করে ভোট দেবেন বলে মনে হচ্ছে। দুপুরের দিকে বুথগুলি ফাঁকা থাকবে বলেই মনে হয়।''

দুজনেই মনে করছেন, দিল্লিতে গরমের জন্য ভোটের হার কমলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। 

জিএইত/এসজি(পিটিআই)