1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণহত্যার অভিযোগ সুচির অস্বীকার

১১ ডিসেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বক্তব্য রেখেছেন অং সান সুচি৷ রাখাইনে সহিংসতার কথা স্বীকার করলেও একে কোনোভাবেই গণহত্যা বলা যায় না বলে মন্তব্য করেন সুচি৷

https://p.dw.com/p/3UaWQ
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. Dejong

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মিয়ানমারের পক্ষে শুনানির সূচনা বক্তব্যে সুচি বলেন, ‘‘দুঃখজনকভাবে গাম্বিয়া রাখাইন রাজ্যের একটি অসম্পূর্ণ, ভ্রান্তিকর চিত্র উপস্থাপন করেছে৷''

রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি ‘জটিল' বলে উল্লেখ করেন সুচি৷ রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ‘দুর্দশার' কথাও এসময় স্বীকার করেন তিনি৷

কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতে হত্যা ও অন্য সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার ও শাস্তি দেয়ার কথা উল্লেখ করেন৷ পাশাপাশি বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া চুক্তির কথাও তুলে ধরেন তিনি৷

রোহিঙ্গা-নির্যাতনে রুয়ান্ডা গণহত্যার মিল

তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে অন্যায়ে জড়িত থাকা সৈনিক ও অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার করছে, শাস্তিও দিচ্ছে৷ তারপরও কিভাবে একে গণহত্যার প্রচেষ্টা বলা যায়? এখন পর্যন্ত সেনা সদস্যদের ব্যাপারে জোর দেয়া হলেও অচিরেই জড়িত বেসামরিক নাগরিকদের বিপক্ষেও ব্যবস্থা নেয়া হবে৷''

মঙ্গলবার প্রথম দিনের শুনানিতে গাম্বিয়া নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে৷ বুধবার মিয়ানমার নিজেদের পক্ষে ব্যাখ্যা দিচ্ছে৷ তিন দিনের এ শুনানির তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য গ্রহণ হবে৷ এজন্য বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের তিন প্রতিনিধি হেগে গেছেন৷ যারা আদালতে নিজেদের উপর হওয়া নিপীড়নের বর্ণনা দেবেন৷

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর আইসিজে তে এটি তৃতীয় গণহত্যা মামলার শুনানি৷

ওআইসিভুক্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া গত নভেম্বরে মিয়ানমারের  বিরুদ্ধে গণহত্যা প্রতিরোধ ও এর শাস্তির বিধানে ১৯৪৮ সালে স্বাক্ষরিত ‘জেনোসাইড কনভেনশন' লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে এ মামলা করে৷

গাম্বিয়া নিজেও ওই কনভেনশনে স্বাক্ষরকারি দেশ এবং ১৯৫৬ সাল মিয়ানমারও স্বাক্ষর করে৷

এডিকে/কেএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান