গণতন্ত্র সূচকে এবারও ‘হাইব্রিড রেজিম’ তালিকায় বাংলাদেশ
লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ইআইইউ ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্র সূচক ২০২১ প্রকাশ করেছে৷ গতবারের মতো এবারও ‘হাইব্রিড রেজিম’ তালিকায় আছে বাংলাদেশ৷ তবে সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে দেশটি৷
গণতন্ত্র সূচক
২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত এই সূচক প্রকাশ করছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ গ্রুপের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট৷
যেসব বিষয় বিবেচনা করা হয়
এবার পাঁচটি মানদণ্ড অনুসরণ করে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে৷ এগুলো হলো নির্বাচন প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, ফাংশনিং অফ গভর্নমেন্ট বা সরকার পরিচালনা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সিভিল লিবার্টিস বা নাগরিক অধিকার৷
চার ধরনের শাসন
বিভিন্ন দেশকে চার ধরনের শাসনব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড রেজিম বা মিশ্র শাসনব্যবস্থা এবং স্বৈরশাসন৷
বাংলাদেশের অবস্থান
২০২১ সালের সূচকে বাংলাদেশকে হাইব্রিড রেজিম বা মিশ্র শাসনব্যবস্থায় স্থান দেয়া হয়েছে৷ ২০২০ সালেও বাংলাদেশ এই শ্রেণিতে ছিল৷ তবে এবার একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ৷ তালিকায় এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫৷ ২০২০ সালে ছিল ৭৬৷ এছাড়া ২০১৯ সালে ৮০, ২০১৮ সালে ৮৮, ২০১৭ সালে ৯২ এবং ২০১৬ সালে ৮৪ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ৷
হাইব্রিড রেজিম মানে কী?
এই ধরনের শাসনব্যবস্থার একটা চিত্র তুলে ধরেছে ইআইইউ৷ এগুলো হলো, নির্বাচনে অনেক অনিয়ম হয়, যা অনেকসময় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা তৈরি করে৷ বিরোধী দল এবং প্রার্থীর ওপর সরকারি চাপ সাধারণ ঘটনা৷ দুর্নীতির মারাত্মক বিস্তৃতি ও দুর্বল আইনের শাসন৷ দুর্বল সুশীল সমাজ৷ সাধারণত সাংবাদিকদের হয়রানি ও চাপের মুখে থাকতে হয়৷ বিচারব্যবস্থাও স্বাধীন নয়৷
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর অবস্থান
ভারত আছে ৪৬ নম্বরে (ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র), শ্রীলংকা ৬৭ (ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র), ভুটান ৮১ (হাইব্রিড রেজিম), নেপাল ১০১ (হাইব্রিড রেজিম) ও পাকিস্তান ১০৪ নম্বরে (হাইব্রিড রেজিম)৷
বৈশ্বিক পরিস্থিতি
ইআইইউ বলছে, ২০২১ সালে বিশ্বের মাত্র ৪৫.৭ শতাংশ মানুষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অধীনে ছিল৷ ২০২০ সালে সংখ্যাটা ছিল ৪৯.৪ শতাংশ৷ অর্থাৎ গণতন্ত্রের অবস্থা আরও দুর্বল হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷ অন্যদিকে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার প্রতি সমর্থন বাড়ছে৷ সূচকে সবার উপরে আছে নরওয়ে (ছবিতে নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী)৷ জার্মানি আছে ১৫ নম্বরে৷ সবশেষে আছে উত্তর কোরিয়া (১৬৫), মিয়ানমার (১৬৬) ও আফগানিস্তান (১৬৭)৷