1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণটিকা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

২৩ আগস্ট ২০২১

বিশেষ গণটিকা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ৷ টিকার পরিমাণ অনুযায়ী নিবন্ধন করে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক৷

https://p.dw.com/p/3zNE7
ফাইল ছবিছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

আমাদের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, সব দেশের টিকাই ভালো তাই হুড়োহুড়ি করে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি৷

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "এ মুহূর্তে গণটিকা কার্যক্রম আমরা করছি না, কারণ সেই পরিমাণ টিকা আমাদের হাতে নেই৷ আমরা গণ কথাটা আগামীতে ব্যবহার করব না৷ আমাদের হাতে যখন যতটুকু টিকা আসবে, সেই পরিমাণ লোককেই আমরা ডাকব৷ যাদের কাছে বার্তা যাবে তারাই আসবে৷''

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ৷ সেই টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণ টিকাদান শুরু হয়৷ সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে টিকার সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ৷ পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়৷

তখন সরকার চীন থেকে জরুরিভাবে সিনোফার্মের টিকা কেনার চুক্তি করে৷ এখন সিনোফার্মের টিকার পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ৷  কিছু টিকা পাওয়ার পর গত ৭ অগাস্ট থেকে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে ছয় দিনের গণটিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করে সরকার৷

এতে মানুষের ব্যাপক সাড়া মিললেও সরবরাহ কম থাকায় অনেককে টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়, অব্যবস্থাপনারও অভিযোগ আসে৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, " আমেরিকার টিকা হোক আর চায়নার হোক, সবগুলোই ভালো তাই হুড়োহুড়ি করে টিকা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই৷''

বর্তমানে দেশে সিনোফার্ম, মডার্না, ফাইজারের টিকার দুই ডোজ নিয়ম অনুযায়ী এক মাস বা চার সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া হচ্ছে৷  এই সময় কমিয়ে আনা যায় কি না, প্রধানমন্ত্রী তা দেখতে বলেছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,  "অন্যান্য দেশ ১৫ দিনের মধ্যে দিচ্ছে, টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ বিষয়টিও আমরা দেখব বলে জানিয়েছি৷''

ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে ছয় দিনের গণ টিকা কর্মসূচিতে এনআইডি নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই টিকা পাওয়ার যে সুযোগ রাখা হয়েছিল, তেমন সুযোগ আর থাকবে না বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷

তিনি বলেন, "গ্রামের লোকেরা টিকা নিচ্ছিল না, এজন্য গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ বেশির ভাগ টিকা শহরে দেওয়া হয়েছে৷ সংক্রমণ কমে আসছে, দৈনিক মৃত্যুও কমেছে…৷ গত পরশু অ্যাস্ট্রাজেনেকা পেয়েছি৷ ফাইজারের টিকা ৬০ লাখ পাব সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৷ চীনের সিনোফার্ম এ মাসের শেষে ১০ লাখ কনফার্ম  করেছে৷''

" চায়নাতে নতুন ৬ কোটি ডোজের অর্ডারসহ মোট সাড়ে ৭ কোটি অর্ডার দেওয়া হয়েছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অফার দিয়েছে, আমাদের কিনে নিতে হবে যা আমরা নিয়েছি৷'' আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৮ কোটির বেশি লোককে টিকা দেওয়ার আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, " যদি ১৬ কোটি ভ্যাকসিন পেয়ে যাই, তাহলে ৮ কেটি লোককে দিতে পারবো এই ভ্যাকসিনগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে আসার কথা৷'' 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো বলেন, "আমরা ফ্রন্টলাইনারদের টিকা দিচ্ছি৷ সকল কারখানার শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে টিকা দেওয়া হবে৷'' 

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান