খোয়াইয়ের হাট
শান্তিনিকেতনের প্রকৃতি মানেই লাল মাটির ঢাল আর ইউক্যালিপটাস বনের খোয়াই৷ প্রতি শনিবার সেই খোলা জায়গাতেই বসে হাট৷ নানাবিধ হস্তশিল্পের পসরা নিয়ে এই হাট এখন শান্তিনিকেতনের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ৷
কাঁথার কাজ
বীরভূম জেলার এই অঞ্চলের কাঁথার কাজ বেশ বিখ্যাত৷ খোয়াইয়ের হাটের পসরার এক বড় অংশ এই কাঁথার কাজ৷
সাঁওতাল নাচ
এক বড় সাঁওতাল বসত আছে শান্তিনিকেতনের লাগোয়া গ্রামগুলিতে৷ সাঁওতালদের নাচও খোয়াই হাটের অন্যতম আকর্ষণ৷
হাতে আঁকা ছবি
শান্তিনিকেতনের কলা ভবনের ছাত্র-ছাত্রীরাও কেউ কেউ আসেন তাঁদের হাতে আঁকা ছবির সম্ভার নিয়ে৷
ঝুটো গয়না
জাঙ্ক জুয়লারি, বা ঝুটো গয়নার জন্যেও শান্তিনিকেতন প্রসিদ্ধ৷ তারও অঢেল আয়োজন থাকে খোয়াইয়ের হাটে৷
আদিবাসী শিল্প
তালপাতার ফুল, কুড়নো কাঠের ভাস্কর্য — যার ঐতিহ্য বহু বছরের, সেসব নিয়ে আদিবাসী শিল্পীরা নিজেরাই আসেন এই হাটে৷
চট, বেত
চট, বা বেতের ব্যাগ এই অঞ্চলের আরেকটি জনপ্রিয় হস্তশিল্প৷ অনেকেই কিনে নিয়ে যান এই গ্রামজ শৌখিনতা৷
ডোকরা শিল্প
প্রথাগত ডোকরা শিল্পেও এখন আধুনিক মননের ছোঁয়া৷ নানা ধরনের ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরি হয় ডোকরা রীতিতে৷
পোশাকি বাহার
পোশাক তৈরির কাপড় থেকে তৈরি পোশাক, সবই মেলে খোয়াই হাটে৷ সব জামা-কাপড়েই স্থানীয় সূচিশিল্পের উজ্জ্বল অলঙ্করণ৷
খুদে শিল্পীর পসরা
নেহাতই কমবয়সি, সদ্য হাত পাকিয়েছে হস্তশিল্পে, কিন্তু তার কাজও সমানভাবে নজর কাড়ে৷
বাউল গান
হাটের মাঝে জায়গায় জায়গায় বসে বাউল গানের আসর৷ অনেকেই গোল হয়ে ঘিরে বসে শোনেন সেই গান৷ খুশি হয়ে পাঁচ-দশ টাকা সম্মানদক্ষিণা দিয়ে যান৷
খাওয়া দাওয়া
মেলা হবে, কিন্তু ভালো-মন্দ খাওয়ার আয়োজন থাকবে না, তাও কি হয়! খোয়াই হাটেও আছে রকমারি খাবারের সম্ভার৷
থেকে যায় সুর
সন্ধে নামলে মেলা ভাঙে৷ যে যার বাড়ি ফেরেন৷ কিন্তু কানে থেকে যায় বাউল গানের সুর৷