খরচ কমাতে সরকারি পরিপত্র: নতুন গাড়ি কেনা বৈঠকের সম্মানী বন্ধ
৪ জুলাই ২০২২বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ গুরুত্ব অনুযায়ী বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত প্রকল্পের ব্যয় করতে হবে৷ পরিপত্রগুলোয় কিছু খরচ স্থগিত ও কিছু সীমিত করতে বলা হয়েছে৷
তিনটি আলাদা পরিপত্রের একটি, পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের কিছু ব্যয় স্থগিত ও হ্রাসকরণ৷ এতে বলা হয়েছে, সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও সংবিধিবদ্ধ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ মোটরযান, জলযান ও আকাশযান এসব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে৷ জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, ভ্রমণ ব্যয়, অন্যান্য মনিহারি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, আসবাব খাতে যে বরাদ্দ আছে, তার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে৷ দেশের ভেতরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে৷
অন্য এক পরিপত্র এডিপিভুক্ত প্রকল্পের ব্যয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে বলা হয়েছে৷ এ জন্য এ বি ও সি নামে তিনটি শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়েছে৷ মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাগুলোর চিহ্নিত প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে৷
বি শ্রেণির প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকারি অংশের ২৫ শতাংশ সংরক্ষিত রেখে অনূর্ধ্ব ৭৫ শতাংশ ব্যয় করা গেলেও সি শ্রেণির প্রকল্পের অর্থ ছাড় আপাতত স্থগিত৷
এদিকে উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন কমিটির সম্মানী বাবদ ব্যয়ও স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে৷ সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সব ধরনের প্রকল্প ও কর্মসূচির ক্ষেত্রে আর আমদানি বাবদ অর্থ ব্যয় করা যাবে না৷
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি), প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিএসসি), বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি), বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (এসপিইসি) এবং বিভাগীয় বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিএসপিইসি)—এসব বৈঠকে অংশ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের সবাই এত দিন ভালো অঙ্কের সম্মানী পেতেন তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
এনএস/কেএম (প্রথম আলো)