খনির বিরুদ্ধে ফুঁসছেন পেরুর গরিব জনগোষ্ঠী
পেরুর গরিব আন্দিয়ান গ্রামগুলোতে খনির বিরুদ্ধে জনরোষ ক্রমশ বাড়ছে৷ খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যে প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন করা হচ্ছে তার সুফল তারা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী৷ দেশটির সরকারও এই বিষয়ে সরব হচ্ছে৷
খনির সামনে বসে আছেন একদল গ্রামবাসী
খনিকে প্রাকৃতিক সম্পদ তোলা হচ্ছে, কিন্তু তার সুফল পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ৷ পেরুর আন্দিয়ান গ্রামগুলোর মানুষ তাই ক্রমশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন৷ ছবিতে পেরুর কুসকো অঞ্চলে একদল গ্রামবাসীকে এমএমজি লাস বামবাস খনির সামনে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে৷
ধুলায় মৃত গবাদ পশু
খনিসংশ্লিষ্ট গ্রামের বাসিন্দা ফেলিসিতা কিসপে একটি মৃত ভেড়ার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন৷ তিনি দাবি করেন, মহাসড়ক ধরে খনির ট্রাকগুলো চলার সময় বাতাসে অনেক ধুলা ওড়ে৷ আর তাতে প্রাণ গেছে ভেড়াটির৷
খনির ট্রাক
খনির মালিকদের ট্রাক যেতে দেখছেন ফেলিসিতা কিসপে৷ যে প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন করা হচ্ছে তার সুবিধা তার মতো গ্রামবাসী অবধি পৌঁছাচ্ছে না৷ প্রতিদিন এরকম শত শত ট্রাক প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে এলাকা ছাড়ছে৷
হতাশ গ্রামবাসী
একসাথে খাবার খেতে পিসাকাসায় জড়ো হয়েছেন একদল গ্রামবাসী৷ খনির কারণে তাদের ফসল উৎপাদন কমে গেছে এবং গবাদি পশু মারা যাচ্ছে বলে জানান তারা৷
গ্রামবাসীর বৈঠক
খনির ক্ষতি রুখতে করণীয় নিয়ে বৈঠক করছেন গ্রামবাসী৷ দেশটির নতুন সরকারও খনি এলাকার মানুষরা যাতে খনি থেকে তোলা প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে প্রাপ্ত আয়ের ন্যায্য হিস্যা পান, সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে৷
ভেড়ার যত্ন নিচ্ছেন পশুপালক
খনি এলাকায় চষে বেড়ানোর ভেড়ার পাল ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করছেন পশুপালক গাবিনো লেওন৷ খনির নেতিবাচক প্রভাবের শিকার তিনি৷