কয়লাখনির পরিকল্পনা, বিক্ষোভকারীদের হটালো পুলিশ
জার্মানির সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কয়লা খনির একটি হামবাখ বনে অবস্থিত৷ সম্প্রতি প্রায় একশ’ হেক্টর বন খালি করে কয়লা খনি সম্প্রসারণের উদ্যোগে বাধ সাধেন পরিবেশবাদীরা৷তাঁদের সরাতেই বনে ঢুকে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ৷
পরিবেশ দূষণ
লিগনাইট নামের এক ধরনের বাদামি নিম্নমানের কয়লা উত্তোলন করা হয় হামবাখ কয়লাখনি থেকে৷ এই কয়লাকে সবচেয়ে বেশি পরিবেশ দূষণকারী জীবাশ্ম জ্বালানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷
সম্প্রসারণ
আরডব্লিউই এনার্জি কোম্পানি এই কয়লা খনির মালিক৷ সম্প্রতি কোম্পানিটি বনের বড় একটি অংশ সাফ করে খনি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ শিগগিরই এ কাজ শুরুর করার কথা রয়েছে৷
প্রতিবাদ, বিক্ষোভ
একদিকে হাজার হাজার গাছ কেটে উজাড় করা, অন্যদিকে কয়লা উত্তোলন৷ পরিবেশের এত বড় ক্ষতি চোখের সামনে মেনে নিতে পারছেন না পরিবেশবাদীরা৷ ফলে নানা ধরনের ব্যারিকেড ব্যবহার করে কাজ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন তাঁরা৷
ট্রি হাউজ
বন রক্ষায় সার্বক্ষণিক নজরদারির লক্ষ্যে বেশ কিছু আন্দোলনকারী গাছেই বানিয়েছেন কাঠ-লতাপাতার বাসা৷ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ছিঁটেফোটা না থাকলেও পরিবেশ বাঁচাতে ভূমিকা রাখতে পেরেই খুশি তাঁরা৷
কোন পক্ষে সরকার?
নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের সরকার অবশ্য বলছে, আরডাব্লিউই এনার্জির সম্পূর্ণ অধিকার আছে খনি সম্প্রসারণের৷ দু’দিন আগেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারব্যার্ট রয়েল বলেছেন, এইসব প্রতিবাদ উগ্র বামপন্থিদের কাজ৷ বিরোধীরা অবশ্য তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ তাঁরা বলছেন, এমন মন্তব্য একটি পরিবেশবাদী আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা৷
পুলিশি অভিযান
বুধবার কয়েকশ’ পুলিশ সদস্য রীতিমতো দাঙ্গার প্রস্তুতি নিয়ে হামবাখ বনে প্রবেশ করে৷ বনজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলা হয়৷ প্রতিবাদকারীদের সাথে দুই জায়গায় হালকা ধাক্কাধাক্কি হলেও বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি৷ কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি পুলিশ৷