ক্ষুধার জ্বালায় কোটি মানুষ
২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে চায় জাতিসংঘ৷ কিন্তু গত তিন বছর ধরে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধাপীড়িত লোকের সংখ্যা বাড়ছে৷
খাবার নেই এত মানুষের?
জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের ৮২ কোটি লোক খাবারের তীব্র অভাবে ভুগছে৷ এর মধ্যে রয়েছে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৪ কোটি ৯০ লাখ শিশু৷
সবচেয়ে বেশী কোথায়?
জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি বলছে, এশিয়ার ৫০ কোটি লোক প্রয়োজনীয় খাদ্য সংকটে ভুগছে৷ আফ্রিকাতে এ সংখ্যা ২৬ কোটি৷ এদিকে ইউরোপ আর উত্তর আমেরিকার শতকরা আট ভাগ লোক রয়েছে এ ঝুঁকিতে৷
অভাব পুষ্টিকর খাবারের
প্রায় ২০০ কোটি মানুষ পুষ্টিকর খাবারের অভাবে ভুগছে, দাবি প্রতিবেদকের৷
দারিদ্র্য আর রোগ
অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্ররা সস্তায় খাবার কেনে যে কারণে তাঁরা শারীরিক স্থুলতাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে৷
কেন খাদ্য সংকট?
প্রতিবেদনটিতে খাদ্য সংকটের প্রধান তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়৷ তা হলো, দুর্বল অর্থনীতি, যুদ্ধ আর পরিবেশের বিপর্যয়৷
যুদ্ধ আর সংকট
উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রতিবেদনটিতে দক্ষিণ সুদান আর ইয়েমেনের কথা বলা হয়৷ দক্ষিণ সুদানে চলমান রাজনৈতিক দাঙ্গার কারণে খাদ্য সংকটে আছে লাখো মানুষ৷ এদিকে ২০১৫ সালের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইয়েমেনে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ লোক যারা খাদ্য সংকটে ভুগছে৷
ভঙ্গুর অর্থনীতি
আফ্রিকার অনেক দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি সেখানকার লোকেদের খাদ্য সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ যেমন তেলের দাম কমে যাওয়ায় নাইজেরিয়ার প্রায় ৫০ লাখ লোকের পুষ্টিকর খাবার কেনার সামর্থ্য নেই৷
পরিবেশে বিপর্যয়
পরিবেশের বিপর্যয়ের ফল ইতিমধ্যে দেখতে পাচ্ছি আমরা৷ প্রতিবেদনটিতে জিম্বাবুয়ে আর কেনিয়ার উদাহরণ দিয়ে বলা হয়,খরা আর অনাবৃষ্টি ফসল উৎপাদন মারাত্বক ব্যহত করেছে আর দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব৷